বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন

ফতুল্লায় বেপরোয়া সোর্স মামুন

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মামুন ওরফে সোর্স মামুন থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় বহন করে নানা অপকর্ম করে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।সোর্স পরিচয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ।

অপরাধিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কে সহায়তা করার কথা থাকলে ও মামুন অপরাধিদের হয়ে কাজ করে বলে জানায় একাধিক সূত্র।

থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোর্স মামুনের কথায় অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করায় সহকারী পুলিশ পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা কে বদলী হতে হয়েছে।তাছাড়া আরো একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কে বিপদগামী করেছে। বিশেষ করে নতুন যোগদান করা পুলিশ কর্মকতাদেরকেই টার্গেট করে সোর্স মামুন অর্থ উপার্জনের ফাঁদ তৈরি করে।

একাধিক সূত্র মতে, নিকট অতিতে মাদক ব্যবসা,ব্যাংঙ্ক মেইলিং ও ছিনতাইকাজে জড়িত ছিল। তবে এখন পুলিশের সঙ্গে সখ্যতার সুযোগে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। রেইনবো মোড় নামক স্থানে রয়েছে তার নিজস্ব মাদক স্পট। তার বন্ধ জনু এই মাদক স্পট পরিচালনা করে থাকে। সূত্রটির দাবী

ছিনতাই, দেহ ব্যবসা, মাদক ব্যবসাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই, যা সে নিয়ন্ত্রণ করছে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৫  সালে ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকা  থেকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয় মামুন।২০১৮ সালে দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা, মটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরে পুলিশ মামুনসহ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।গত বছর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামুনকে আটক করে এক মাসের সাজা দেওয়া হয় জেল থেকে সাজা খেটে বের হওয়ার পর পুলিশের সোর্স পরিচয়ে সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছেন।

মামুনের সোর্স বাহিনীতে একাধিক লোক রয়েছে, তারা মামুনের সাথে ফতুল্লা থানা এলাকায় গ্রেফতারের নামে উৎকোচ বানিজ্য করতে দেখা যায়। ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে তল্লাশির নামে উৎকোচ’ বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। রাতে চলাচলরত মানুষকে তল্লাশির নামে পকেটে ইয়াবা কিংবা গাঁজার পুরিয়া দিয়ে ফিটিং দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে সোর্স মামুনের বিরুদ্ধে। আবার কখনও কখনও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়েও সে নিরপরাধ মানুষের অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অপরাধী গ্রেফতারে নানা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করাই সোর্সের কাজ। পুলিশ এসব সোর্স নিয়োগ করে অপরাধীদের মধ্য থেকেই। বিনিময়ে তারা অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু সোর্সেরা অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে না দিয়ে নিজেরাই ব্যবসা শুরু করছেন। এরা মাঝেমধ্যে বিরোধী গ্রুপের দু-চার জনকে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইনসহ ধরিয়ে দিয়ে নিজেদের ব্যবসা নিরাপদ রাখেন।

ফতুল্লা মডেল থানার এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছে, সোর্স মামুনদের ভুয়া তথ্যে পুলিশ সদস্যদেরও অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD