সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:-ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পযর্ন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

(১০ জানুয়ারি) সোমবার সকালে তাদের মরদেহ ভেসে উঠে। তবে এখনো নিখোঁজ আছে দেড় বছরের শিশু তাফসিয়া।

উদ্ধারকৃতরা হলেন, মৃত জেসমিন আক্তারের ছেলে তামিম খান, উত্তর গোপালনগরের মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও বক্তাবলীর রাজানগর খাসমহল মৃত মনসুর আলীর ছেলে সামসুদ্দিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। তিনি জানান, মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে রোববার ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপির চর মধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার, তার মেয়ে তাসমিন আক্তার, চর বক্তাবলীর রাজু সরকারের ছেলে কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন ও বক্তাবলী ইউনিয়নের উত্তর গোপালনগরের মোতালেব, চর বক্তাবলীর আওলাদ হোসেন, বক্তাবলীর হাজীপাড়ার জলিল বেপারী জোসনা আক্তার।

অপরদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।