সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লায় বক্তাবলীর ধলেশ্বরী নদী থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আন্তজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

(৬ জানুয়ারি) শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরী ঘাটের উত্তর পার্শ্বে কনকর্ড তেল পাম্পের পূর্ব পাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

(৭ জানুয়ারি) শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন বক্তাবলীর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মিয়া।

আটককৃতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কাশেম খানের ছেলে ময়না খান, একই জেলার কামারগাঁও গ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে মো. বাবুল হক, মাদারীপুরের শিবচর এলাকার শাহ জাহানের ছেলে মো. আরাফাত হাওলাদার, ফরিদপুর সদরপুর এলাকার সুমন বেপারীর ছেলে মো. হারুন বেপারী, একই জেলার মৃত তানিজ বেপারীর ছেলে হৃদয় খান, ঢাকার দোহার এলাকার রাসেল বেপারীর ছেলে শাহ আলম, ফরিদপুরের মদুকালী এলাকার মৃত আব্বাস শেখের ছেলে মো. শাহ জাহান, মাদারীপুরের শিবচরের জুয়েল হাওলাদারের ছেলে মো. সোজাত হাওলাদার।

পুলিশ জানায়, ফতুল্লার বক্তাবলী ধলেশ্বরী নদীতে একটি ট্রলারে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। তাদের দেখে একটি ট্রলারে থাকা ১২-১৫ জন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে মুক্তারপুরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে পুলিশও ৩ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশের ২ জন সদস্য আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহতরা হলেনবক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল আনোয়ার সুলতান। আটককৃতদের কাছ থেকে রামদা, শাবল, কাটারসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ৮ জনকে আটক করলেও বাকী ৪-৫ জন সদস্য পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে।

বক্তাবলীর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়দের সহায়তায় ৮ জনকে আটক করি। ২ জন পুলিশ সদস্য এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের ৪-৫ জন নদীতে লাফিয়ে পড়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।