রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া এপিবিএনের তিন সদস্যসহ ৭ জনকে খালাস ও বাকি ৬ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলছে- এ হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। ২টা ২৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
এদিকে, রায় ঘোষণা উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করছেন। মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পাঁচদিন পর ৫ আগস্ট ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
চার মাস পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।