শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিল্টন সমাদ্দারের সব অপকর্ম তদন্ত করে বের করা হবে, হারুন শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রেখে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, স্বীকারোক্তিতে রোমহর্ষক বর্ণনা ধর্ষকের অয়ন ওসমানের ছবি ব্যবহার করে কুতুবপুরে রায়হানের অপরাধ জগত ফতুল্লায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূঁকে মারধর পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মৃত সদস্যদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ধৈর্য এর সাথে প্রত্যেকটি ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, লিপি ওসমান ফতুল্লায় মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় রায়হান গ্রেফতার সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু বাড়বে তেলের দাম, আসতে পারে অর্থনৈতিক সংকট

মা চলে গেছেন প্রেমিকের সঙ্গে, বাবারও করেছেন বিয়ে, অত:পর থানায় তিন শিশু সন্তান

সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রুকন মিয়া ও ফাতেমা খাতুন। প্রায় দুই মাস আগে ফাতেমা খাতুন দেশের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। একপর্যায়ে জানা যায় প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন ফাতেমা।

এর কিছুদিন পর বাবা রুকন মিয়াও ঘর বাধেন অন্য নারীর সঙ্গে। সেই থেকেই তিন শিশু ছয় বছরের রুমি, তিন বছরের জান্নাত ও দুই বছরের ফাহাদকেকে খাওয়াচ্ছেন প্রতিবেশী বিধবা সরিফা খাতুন। কিন্তু আর কুলাতে না পেরে শিশুদের নিয়ে থানায় হাজির হন তিনি।

জানা যায়, মাস দুয়েক আগে শিশুদের মা ফাতেমা খাতুন বাসা ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন। এর কিছুদিন পর বাবা রুকন মিয়া অন্য নারীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। ছোট্ট শিশু রুমির বয়স ছয় বছর হলেও বলতে পারে সব কথা। সে জানায়, তাদের বাড়ি শেরপুর জেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে। তারা শ্রীপুরে ভাড়া থাকত। তাদের মা-বাবা তাদের ফেলে কোথায় যেন চলে গেছেন। তারা কোনো খোঁজখবর রাখেন না। এখন খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে তারা।

শিশুদের বিষয়ে প্রতিবেশী সরিফা খাতুন জানান, তিন সন্তান নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রুকন মিয়া ও ফাতেমা খাতুন। দেড়-দুই মাস আগে ফাতেমা খাতুন দেশের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। এরপর তারা জানতে পারেন, প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন ফাতেমা খাতুন। এর কিছুদিন পর বাবা রুকন মিয়াও চলে যান। পরে তাকে ফোন করা হলে তিনি অন্য নারীকে বিয়ে করেছেন বলে জানান।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন শিশু তিনটির বাবা-মা ফিরে না আসায় বাড়ির মালিক তাদের বাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর এলাকাবাসী শিশুদের বাবা-মা ফিরে আসবেন বলে তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। স্থানীয় গ্রামের লোকজন বলেছিলেন, কয়েক দিন লালনপালন করতে থাকো, ওদের মা অথবা বাবা আসবে এদের নিতে। কিন্তু প্রায় দুই মাস তাদের কোনো খোঁজখবর নেই। আমি গরিব মানুষ। তিনটি শিশুকে খাওয়া, পরানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই থানায় নিয়ে আসছি।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ওই তিন শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আশা করি তাদের একটি ভালো ব্যবস্থা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD