মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
ফতুল্লার পাগলা নয়ামাটি এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় নামধারী যুবলীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন তুহিন গংদের বিরুদ্ধে থানায় দুইটি অভিযোগ।
সোমবার (১৪ জুন) বিকাল ৩ টায় পাগলা নয়ামাটি ভাবির বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পাগলা দক্ষিণ নয়ামাটি, নাক্কাটার বাড়ী এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও একই এলাকার মোঃ আবু জাফরের ছেলে আফজাল বাদী হয়ে নয়ামাটি এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন তুহিন, ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাইল আহাম্মেদ পারভেজ, কামালের ছেলে সালাম, জামালের ছেলে মুন্না, ইদ্রিসের ছেলে জুয়েল শেখ, আনিছ রাজমিস্ত্রীর ছেলে বরিশাইল্লা সাইফুল, রাতুল ও আরিফসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন সময় আহত তানভীর (২২) ও দূর্জয় (২০)কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন উল্লেখিত বিবাদীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকালে তাদের বাসা থেকে পপুলার স্কুল সংলগ্ন ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সামান্য বিষয় নিয়ে আহত তানভীর ও দূর্জয়য়ের সাথে অযথা ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা। একসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিবাদীগণের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, রাম দা, সুইচ গিয়ার, লোহার পাইপ ধারা তানভীর ও দূর্জয়কে এলোপাথাড়ি হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে লোক মারফত খবর পেয়ে আহতদের পরিবারের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে তানভীর ও দূর্জয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন তুহিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি শুনেছি এখানে দুইগ্রুপে ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে আমাকে অভিযুক্ত করেছে কেন তা জানিনা। অথচ আমি উক্তস্থানে ছিলাম না। আমি রাজনীতি করি বলেই হয়তবা আমার নামটি অর্ন্তভুক্ত করেছে। তবে ভাই আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
অপর অভিযুক্ত জুয়েল শেখের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার নাম এখানে আসবে কেন? আমিতো আমাদের চেয়ারম্যানের সাথে সেখানে একটি বিচারে গিয়েছিলাম। তাছাড়া যাদেরকে মারধর করা হয়েছে ওরা চিহিৃত অপরাধী।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী সে যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।