সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন। নিজের জীবন দিয়ে এ কথা আবারো প্রমাণ করে গেলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা এলাকার মাসুদ। (২৪ জুলাই) শনিবার দুপুরে পাগলার নয়ামাটি মুসলিমপাড়া লাবনী জুস কারখানার সামনে তাকে হত্যা করে।
নিহত মাসুদ পাগলা নয়ামটি পশ্চিম পাড়ার রুহুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ সোহেল ও তার বাবা আইয়ুব আলীকে আটক করেছে। এ সময় সোহেলের কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মাসুদের ছোট ভাই শাওনের সঙ্গে সোহেলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাওন ও সোহেল গ্রুপের মাঝে মারামারি শুরু হয়। এ সময় মাসুদ ছোট ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সোহেল ও তার সহযোগীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হন মাসুদ। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইচ গিয়ার ছুরিসহ সোহেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত মাসুদের ছোট ভাই শাওন ও আটক সোহেল দুজন বন্ধু ছিল। দেড় মাস আগে সোহেলের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেন শাওন। সেই টাকা চাইতে গেলে ঈদের আগের রাতে সোহেলকে চর-থাপ্পড় মেরে তাড়িয়ে দেয় মাসুদ। এ ঘটনার জেরে শনিবার দুপুরে পরিকল্পিতভাবে সোহেল ও তার সহযোগীরা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুপুরে সোহেল ও তার সহযোগীরা মাসুদকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।