মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সৌদি নারী প্রবাসীর কাছ থেকে ক্রমান্বয়ে ২০ লাখ টাকা ও শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে পাওয়া গেছে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ফতুল্লা মডেল থানায় আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা আলীগঞ্জ পলাশ নগর পূর্ব পাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীগঞ্জ পলাশ নগর পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত, শাজাহানের মেয়ে সৌদি প্রবাসী হালিমার ১৯৯৮ সালে প্রথম বিয়ে হয় সেই ঘরে আমার দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে যাই। বিদেশে থাকা অবস্থায় ২০১৮ একই এলাকার আব্দুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে আব্দুর রহমান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে আব্দুর রহমানের নামে প্রিমিয়ার ব্যাংক একাউন্টে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নেয়। এমনকি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র দেই। তিন বছর পর ২০২১ সালে বাংলাদেশে আসলে আব্দুর রহমান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়েও তোলে। পরে আমাকে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজিয়ে ২/৩ মাস আমার সাথে সংসার করে। আমার ছুটি শেষ হয়ে গেলে পুনরায় আমি সৌদি আরবে চলে যাই। এরপর এক বছর পর তাকেও আমি সৌদি আরবে নিয়ে যাই। সেখানেও আমাদের ২ বছর সংসার করি। আব্দুর রহমান ১৫ দিন আগে বাংলাদেশে এসে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এমন কি সে অন্যত্র বিয়ে করে। খবর পেয়ে আমি বাংলাদেশে আসলে সে আমাকে জানায় আমার সাথে সাথে আমার বিয়েই হয়নি। এমনকি তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকে প্রদান করছে।
তিনি জানান, পরে এ বিষয়ে এলাকার মেম্বার জাহাঙ্গীর আলমকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখার কথা বললেও কিছুদিন পর তিনি কিছুই করতে পারবেন না বলে আমাকে জানান পরে আমি ফতুল্লা মডেল থানায় আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে জানতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে ফোন দিলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে সৌদি প্রবাসী হালিমা এসেছিল। আমি বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আবু হানিফ জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়েছিলাম। হালিমা আক্তারের কাছ থেকে আব্দুর রহমানের টাকা নিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে বলে জানায় আব্দুর রহমান জানায়। বিষয়টি ভালো করে তদন্ত করছি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।