রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- স্কুল থেকে ফেরার পথে ৯ বছরের শিশুকে কৌশলে রাস্তার পাশের ধানের জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন মফিজুল ইসলাম। এ সময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে মুখ ও গলা চেপে ধরেন তিনি। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু তাফরিন সুলতানা ঝুমুর। পরে ঝুমুরের কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যান। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দেন মফিজুল। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তির ফেরুয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত মফিজুল ইসলাম মফু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা।
র্যাব জানায়, শিশুকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা জানার পর গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একটি বিশেষ অভিযান চালায় র্যাব-১১। মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে মফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণসহ হত্যার কথা স্বীকার করে র্যাবকে বলেন, সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১১টা থেকে স্কুলছাত্রী তাফরিন সুলতানা ঝুমুরের আসার অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে ঝুমুর বাসায় ফেরার পথে কৌশলে রাস্তার পাশের ধানের জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় সে চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফিজুল তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। এতে ঝুমুর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে ঝুমুরের কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
জানা যায়, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতন কিন্ডারগার্টেন স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ঝুমুরকে সড়কের পাশে ফসলি জমিতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঝুমুর খিলপাড়া গ্রামের প্রবাসী জাকির হোসেনের মেয়ে।
সে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বিকেল ৩টায় খিলপাড়া এলাকায় একটি ধানের জমিতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শিশুটির মা রাজিয়া বেগম।