শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লার কুতুবপুরে সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের নাম,ছবি ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে রায়হান আহমেদ বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয় এলাকায় মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে রায়হান। প্রায় সময়ই রায়হান বাহিনীর হামলা নিরিহ মানুষ আহত হচ্ছে।
এই অপরাধী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশী দামে নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করা-ই তাদের নেশা এবং পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অপরাধীর দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে।
রায়হান নিজেকে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে মুজাহিদ, মিজানকে নিয়ে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে রায়হান আহমেদ নিজেকে আদর্শ মানব সেবা সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক। অথচ তিনি জনগণকে জিম্মি করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
সম্প্রতি রায়হান বাহিনীর হামলায় কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় মুখের সামনে সিগারেট খাওয়াট প্রতিবাদ করায় সালমান (১৭) নামে এক কিশোরের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
সূত্র জানায়, কুতুবপুরে আদর্শনগর,শহীদ নগর,মাতুয়াইল হাসপাতাল এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মূল হোতা রায়হানের নেতৃত্বে কয়েকশ কিশোর অপরাধী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রায়হান ও তার বাহিনীর সদস্যরা আদর্শ নগর থেকে শুরু করেক্যানেল পাড় মাতুয়াইল হাসপাতাল পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এমন কোন দিন নেই এই অপরাধীদের হাতে মানুষ শারীরিক এবং মানষিক ভাবে লাঞ্ছিত না হয়। এই রায়হান বাহিনীর কাছে কুতুবপুরের মানুষ জিম্মি হয়ে পরেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে, ছবি তুলে বড়ো করে সাটিয়ে, ব্যানার, ফেস্টুন করে স্থানীয় ভাবে কিংবা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, প্রকাশ করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করছে।
তবুও এই বাহিনীর অপতৎপরতা থেমে নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুতুবপুরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর অপরাধীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে রায়হান। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কিশোর অপরাধীদের দমন করবে কে? তবে এসব অপরাধীদের এখনই লাগান টানা দরকার এমন দাবি সচেতন মহলের।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, কুতুবপুরেট আলোচিত কিশোর গ্যাং লিডার রায়হানের নেতৃত্বে প্রায় সহস্রাধিক কিশোর অপরাধী সক্রিয় রয়েছে। এদের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের একাধিক কর্তার সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন এবং নেতাদের নাম ব্যবহার করে এসব উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কুতুবপুরের অপরাধ জগৎ মূলতঃ কিশোর অপরাধীদের হাতেই পরিচালিত হচ্ছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, জোর করে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা, নেট,ডিস ব্যবসা এবং উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংগঠিত হচ্ছে কিশোর অপরাধীদের হাতেই।
রায়হানের নেতৃত্বে কয়েকশ কিশোর অপরাধী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, সু-নির্দিস্ট অভিযোগ পেলে তাদের কে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীরা যে দলের বা যতো শক্তিশালী, প্রভাবশালী হউক না কেনো কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।