মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ (লকডাউন) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। (৩ আগস্ট) মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধ বেড়েছে। সবাইকে ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে সেই শর্ত আরোপ করা হয়েছে। অফিস আদালত ১১ তারিখ থেকে খুলবে। এই কয়দিন বাস্তবতা লক্ষ করব। টেস্ট কেইস হিসেবে দুই-চারদিন দেখব। প্রয়োজন হলে জরুরি ভিত্তিতে বসে সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি সচল রাখাও দায়িত্ব। সেজন্য কিছু শিল্প-কারখানা খোলা হয়েছে। যানবাহন সব চলবে না। রোটেশন অনুযায়ী চলবে। ১০০ গাড়ি থাকলে শ্রমিক নেতারা ঠিক করবে, অল্পসংখ্যক চলবে। সীমিত আকারে গাড়ি চলবে। রেল ১০টার জায়গায় হয়তো ৫টা চলবে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হবে। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
তবে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
কিন্তু এর মধ্যেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সোমবারের (২ আগস্ট) হিসাব অনুযায়ী একদিনে ২৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।