শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সাহিদা আক্তার ওরফে সাইদা শিউলি নামে এক নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন শুনানি শেষে গত ১৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হাসান শ্যামলের আদালত এ পরোয়ানা জারি করে।

একই আদালতে খোরশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ঐ নারী। আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।

গত ৪ নভেম্বর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই তৌহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাঈদা আক্তারের বিয়ের পর প্রথম স্বামীর সংসারে তার ৩টি সন্তান রয়েছে। বনিবনা না হওয়ায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর কাউন্সিলর খোরশেদের সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ২ আগস্ট বিকেলে সাহিদা আক্তারের কাঁচপুরের পেট্রল পাম্পে একজন লোককে সঙ্গে নিয়ে যান খোরশেদ। সেই লোককে কাজী বলে সাহিদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন খোরশেদ।

এরপর সেই কাজী তার রেজিস্টারে সাহিদার স্বাক্ষর নিয়ে বলেন, আপনারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ঐ রাত ১১টায় সাহিদা আক্তারের নিজ বাসায় বাসরের নামে খোরশেদ তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন। এরপর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর দাবিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খোরশেদের কাছে একাধিকবার সাহিদা আক্তার বিয়ের কাবিননামা চান। খোরশেদ কাবিননামা না দিয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাত ১১টায় আবারো সাহিদা আক্তারের বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, সাহিদা আক্তার নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গার্মেন্টস, হোসিয়ারীসহ এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD