মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- ধর্ষন বন্ধে দরুত সর্বোচ্চ শাস্তির আইন কার্যকর করতে হবে-পীর সাহেব জৌনপুরী তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশের আমীর, জৌনপুরী দরবার শরীফের পীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দীকী বলেছেন, ধর্ষন ও গণধর্ষন মহামারীর প্রতিবাদে উত্তাল সারাদেশ। সকল মানুষের দাবী হচ্ছে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করা। তাই যেভাবেই হোক ধর্ষন প্রতিরোধ করুন। নতুবা দেশের মানুষ বিক্ষুব্দ হয়ে রাজপথে নেমে আসবে এবং সরকারকে গণ ঘেরাও করবে। তখন সরকার কোন কুল কিনারা পাবে না।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বাদ জুম’আ আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে পীর সাহেব বলেন, ধর্ষন সামাজিক মহামারীতে রুপ নিয়েছে। এর কারন কুশিক্ষা, কুরআনের আইনে বিচার না হওয়া, পর্দা প্রথা বাধ্যতামূলক না থাকা। ধর্ষন সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে কুরআন সুন্নাহর আইন বাধ্যতামূলক করে ধর্ষকদের শাহাবাগে, মতিঝিলে প্রকাশ্য ভাবে কতল করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী মাওলানা আবদুর রহীম, মাওলানা বরাতুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক নক্সেবন্দী, পরিচালনায় ছিলেন তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আরিফুর রহমান।
পীর সাহেব বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন মিডিয়ায় সারাদেশের ধর্ষন, গণধর্ষন, খুন, গুম, দূর্নীতি, অত্যাচার, লুটপাটসহ নানা অপকর্মের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ যদি দ্রুত এসব অপকর্মের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতেন তাহলে দেশ শান্তিময়, অপরাধমুক্ত, সমৃদ্ধ জাতিতে পরিনত হত।
তিনি আরো বলেন, বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি ঘটনার বিচারের বিষয়ে পত্রিকা তথা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করা হয়, তাতে সারাদেশের হাজারো অন্যায় অবিচার ধর্ষন, খুন গুম বন্ধে কোন প্রভাব ফেলে না। তিনি বলেন, ভারতের টিভি চ্যানেল সমূহের অশ্লীলতা, নগ্নতা এবং মাদকাসক্ততা ধর্ষন মহামারীর মূল কারন। এসব কারনেই পাকিস্তান, চীন, নেপাল, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ ভারতীয় নগ্নতার প্রচার প্রদর্শনের চ্যানেল সমূহ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। এদেশের রাষ্ট্র প্রধান হচ্ছেন একজন মুসলিম নারী। এতদসত্ত্বেও ধর্ষন বন্ধে নগ্নতা ও অশ্লীলতার ভারতীয় টিভি চ্যানেল সমূহ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক সংগঠন, বেসরকারী সংগঠন এবং সারা দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতাকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকার যদি ধর্ষনের বিষয়ে দ্রত ফাসির আইন না করে তবে সরকারকে গণ বিস্ফোরনের মুখোমুখি হতে হবে।