মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
(৩ জুলাই) সোমবার রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৪ জুলাই এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এতে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম হৃদয় হাসান (২২)। তিনি চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৭ নম্বর গলির আবদুল জলিলের ছেলে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্যান্য ১০ জন স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের পর ২৩ জুন শমসের আলীর সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করেন। বিজয় মিছিল শেষে শমসের আলীর অনুসারী মো. রায়হান জয়নাল আবেদিনের দুই অনুসারী মো. বাবলু ও মো. হাসান নামের দুজনকে গুলি করেন। এ ঘটনায় রায়হান অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। সেই ঘটনার জেরে গত রোববার রাতে শমসের আলীর আরেক অনুসারী মো. শাওনের সঙ্গে জয়নাল আবেদিনের তর্ক ও পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
গত রোববারের ঘটনার জেরে গতকাল সকাল থেকেই চনপাড়ায় দুই পক্ষ মহড়া দেয়। পরে গতকাল রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। এ ছাড়াও সংঘর্ষে নিজেদের অন্তত ১০ জন অনুসারীর আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শমসের আলী ও জয়নাল আবেদিন। তবে তাঁরা তাঁদের পরিচয় জানাতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ হৃদয়কে উভয় পক্ষই নিজেদের লোক বলে দাবি করছে।
তবে গুলিবিদ্ধ হৃদয় হাসানের বাবা আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হৃদয় কোনো পক্ষেরই লোক নয়। সে একজন হোটেল ব্যবসায়ী। রাতে দুই পক্ষের মারামারি শুরু হলে হৃদয় হোটেল বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, দুদিন ধরে চনপাড়া কিছুটা উত্তপ্ত ছিল। এরই মধ্যে রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই ঘটনার পর আজ ভোর থেকে চনপাড়ায় অভিযানে নামে পুলিশ। এ সময় ওই সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ১৪ জনকে আটক করা হয়।