সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসন থেকে ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বৈধ হয়েছেন ৩৮ জন প্রার্থী।

(৪ ডিসেম্বর) সোমবার দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে ঋণ খেলাপি ও জামানত না দেওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

মনোনয়নপত্র বাছাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আনোয়ার হোসাইন, জেলা নির্বাচন অফিসার কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বী প্রমুখ।

জামানত না দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে সুপ্রিম পার্টির আফাজ উদ্দিন মোল্লার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষর না করায় ও কংগ্রেস এর জিকে মামুন দিদার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ঋণ খেলাপি থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জাকের পার্টির জামিল মিজি জামিনদাতা ঋণ খেলাপি হিসেবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। একই কারণে একই আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী সিরাজুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলামের দাখিলকৃত ১ শতাংশ ভোটারের মধ্যে বাছাইকৃত ১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর যাচাই করে ৪ জন ভোটারের স্বাক্ষর সঠিক না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী দেলোয়ার হোসেন ফরম সঠিকভাবে পূরণ না করায় এবং ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য দাখিল না করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিলকারীর মধ্যে ৯ জন বৈধ হয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমপি এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. জয়নাল আবেদন চৌধুরী, স্বতন্ত্র থেকে মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান, ইসলামী ফ্রন্ট থেকে একেএম শহীদুল ইসলাম ও জাকের পার্টি থেকে মোহাম্মদ জোবায়ের আলম ভূঁইয়া।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিলকারীর মধ্যে ৪ জন বৈধ হয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয় ও জাকের পার্টির মো. শাহজাহান।

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিলকারীর মধ্যে ১১ জন বৈধ হয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জাতীয় পার্টি থেকে লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনএম মনোনীত প্রার্থী এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. মজিবুর রহমান মানিক, বিকল্পধারা বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী নারায়ণ দাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এরফান হোসেন দ্বীপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মারুফুল ইসলাম ঝলক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এএইচএম মাসুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাম্মৎ রুবিয়া সুলতানা, মুক্তিজোটের মো. আরিফ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিলকারীর মধ্যে ৯ জন বৈধ হয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টি থেকে সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, জাকের পার্টি থেকে মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মো. হাবিবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপি থেকে আলী হোসেন, সুপ্রিম পার্টি থেকে মো. সেলিম আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহিদ উন নবী, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে গোলাম মুর্শেদ রনি ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মো. ছৈয়দ হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসন থেকে ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিলকারীর সব প্রার্থী বৈধ হয়েছেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টি থেকে একেএম সেলিম ওসমান, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী ভূঁইয়া, ইসলামী ফ্রন্ট থেকে এএমএস একরামুল হক, জাকের পার্টি থেকে মো. মোর্শেদ হাসান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ছামছুল ইসলাম।