মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ৪৩৪ জনকে আসামি করে নয়টি মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান, মতিঝিল থানায় দুটি, শাহবাগ থানায় দুটি, পল্টন থানায় দুটি এবং কলাবাগান, ভাটারা ও বংশাল থানায় একটি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার সকালে এসব মামলা করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে কর অঞ্চল ১৫ -এ পার্কিং করা সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর বেলা ১টার দিকে মতিঝিল থানাধীন মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে, ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলতি গাড়ি ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে, দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন এবং বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে আগুন দেয়া হয়।
এছাড়া ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন পার্কলিং-এ জৈনপুরী পরিবহন, বিকেল ৩টায় মতিঝিল থানাধীন পুবালী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে এবং ভাটারা থানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন, কেউ হতাহত হননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান, ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহবাগে ৬ জন, পল্টনে ৯ জন, বংশালে ২ জন, কলাবাগানে ২ জন ও মতিঝিল থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিন অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাসে অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে কে বা কারা লাগিয়েছে এবং কেন লাগিয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে না পারলেও পুলিশ বলছে, উপ-নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতার উদ্দেশ্যেই গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।