বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ), আর্থ্রাইটিস (অস্থিসন্ধির ব্যথা), দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা নিয়ে ১০ মাস আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে, দাঁতের ব্যথাও ভালো হয়েছে এবং শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে। এছাড়া কেনো কোনো ক্ষেত্রে সমস্যার আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে এবং কোনো কোনো রোগ স্থিতিশীল রয়েছে।
(২৬ জানুয়ারী ২০২০) রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে এ হাসপাতালে খালেদার উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে না বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতার।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শারীরিক নানা সমস্যার কারণে এবার দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এ দফায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গত বছরের ১ এপ্রিল।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার এ বোর্ডের প্রধান। বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী, গত ১৭ ডিসেম্বর আরও দুজন চিকিৎসককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাছাড়া বোর্ডের সুপারিশে আরও দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক- মনোরোগ ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ তার চিকিৎসাসেবায় সম্পৃক্ত রয়েছেন।
হাসপাতালের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯ ও ২০১২ সালে খালেদা জিয়ার দুই হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নি-রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আর্থাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ভ্যাকসিন নেয়া, বায়োলজিকস ও অন্যান্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। তবে খালেদা জিয়া এতে এখনও রাজি হননি।
ডায়াবেটিস, আর্থাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয় উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ওইসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার লক্ষ্যে গঠিত মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।