সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সহোদর দুই ভাই লিমন ও ইমরান । এই প্রভাবের কারণেই ‘বীরদর্পে’ নানা ধরনের অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। ধর্ষণ থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, দখল, চাঁদাবাজি কিছুই বাদ যাচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এ ধরনের অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কেউ তাদের কিছু বলছে না। এমন অভিযোগও রয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সোর্সদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণির সদস্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হুশিয়ারিতে কোন কাজ হচ্ছেনা। একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতারাও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। এজন্য এলাকা ভাগ করা আছে। কেউ যুবলীগ, কেউ ছাত্রলীগ, কেউ এমপির লোক, কেউবা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোক—এভাবে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা।
এদিকে (২০ মার্চ) শনিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কার্যক্রমেরই অংশ বিট-পুলিশিং সভায় কুতুবপুর ইউনিয়নে কোন মাদক থাকবে না বলে হুুশিয়ারি দিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম এত কোন লাভ হয়নি। মাদক ব্যসায়ীরা তাদের মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বুক ফুলিয়ে।
এদিকে সহোদর দুই ভাই লিমন ও ইমরান রয়েছে বিশাল কিশোরগং, দুই ভাইয়ের ছত্রছায়ায় কুতুবপুরের বটতলা, বউবাজার, শাহী মহলা, আকনপট্টি, প্যারাডাইস সিটি ও মল্লিকের মাঠ সহ আশপাশ এলাকা হয়ে উঠেছে অপরাধ আর অপরাধীদের অভয়ারণ্য। সরকারদলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সহোদর দুই ভাই লিমন ও ইমরান পাগলা বটতলায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে এক শ্রেনীর পেশাদার অপরাধীদের ব্যবহার করে উল্লেখিত এলাকাজুড়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, নারী দিয়ে ব্লাক মেইলিং, বিচার-শালিসীর নামে অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজী, ফ্ল্যাট ব্যবসা সহ সমাজ বিরোধী নানা অপরাধের জন্ম দিয়ে স্থানীয়বাসীর জীবন যাত্রাকে করে তুলেছে অসহনীয় যন্ত্রণাময়। সহোদর দুই ভাই লিমন ও ইমরানের হাতে কেহ নির্যাতিত বা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ভয়ে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করেন না।
এদিকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগের সবখানে ঠাঁই করে নিয়েছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড—সব শাখায় গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছে। জীবনে কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতি কিংবা জয়বাংলা স্লোগান না দিলেও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সখ্য গড়ে তুলে বনে গেছেন তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কেউ কেউ গত ১১ বছরে বিশেষ আশীর্বাদে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কিংবা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে করছে বিভিন্ন অপকর্ম।
সুত্র থেকে পাওয়া, বউবাজার, বটতলা, শাহীবাজার, আকনপট্টি, প্যারাডাইস সিটি ও মল্লিকের মাঠ সহ আশপাশ এলাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণে ইমরান-লিমনের রয়েছে বিশাল এক বাহিনী। এই বাহিনীর উল্লেখ্যযোগ্যরা হলো- ইমরানের ডান হাত খ্যাত ইব্রাহিম ওরফে ডিলার ইব্রাহিম, সামাদ, কালা চাঁন, ফোটনা রাসেল, ইমরানের চাচাতো ভাই ইয়াবা ব্যবসায়ী নাঈম। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাং লিডার সোহান ওরফে ভাগ্নে সোহান, বউবাজারের ফেন্সিডিলের ডিলার, সোহানের বাবা কালা জাহাঙ্গীর, ইয়াবার ডিলার ফারদিন, সাইফুল, গেমস লিটন, প্লাবন মানিক, সাইফুল ও মোস্তফা।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য কিশোর গ্যাং হলো- নাবিল, মদ রনি, জিয়া, লিটন, মোজাম্মেল, গোলাপ, সিরাজ,জাকির, শাওন ডিজে রাকিব, রবি রায়হান, রকি, মোক্তার, ফারদীন ও এসকে শরীফ এরা সকলেই উলে¬খিত এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও এদের প্রায় সবাই এবং মাদকাসক্ত।