মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- ফতুল্লায় গৃহবধূ তানজিদা আক্তার পপি হত্যা মামলায় দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী হীরা চৌধুরী।(২৭ মে) বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ন কবিরের আদালত হীরা চৌধুরীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন আসামি হীরা চৌধুরী।
চাহিদা অনুযায়ী শারীরিক সম্পর্ক করতে না দেয়ায় গলাকেটে নির্মমভাবে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, আসামি হীরা চৌধুরী আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিন শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইতেন, কিন্তু স্ত্রী এতে রাজি ছিলেন না। আর এ কারণেই স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, হীরা চৌধুরী ও তানজিদা আক্তার পপি দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। হীরা প্রায় সময় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ফতুল্লা থানার পূর্ব লামাপাড়ার ওমর চৌধুরী তুহিনের ছেলে হীরা চৌধুরীর সঙ্গে ফতুলার বক্তাবলীর রাজাপুরের মৃত আলী আশরাফের মেয়ে তানজিদা আক্তার পপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পপির কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সবসময় চাহিদা পূরণের চেষ্টা করতেন পপির বাবার বাড়ির লোকজন। জমি বিক্রি করেও মেয়ের সুখের জন্য চাহিদা পূরণ করেছেন পপির মা তাসলিমা বেগম। সর্বশেষ হত্যার আগের দিন দুপুরেও তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছেন পপির মা।
পরের দিন সকাল ৮টার দিকে ফোন করে জানানো হয়, তার মেয়ে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, তার মেয়েকে গলাকেটে হত্যা করেছেন তারই স্বামী।
ঘটনাস্থলে থেকে গৃহবধূ পপির হাতবাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পাশের রুমে আত্মগোপন করে থাকা ঘাতক স্বামী হীরাকে আটকসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্বার করে পুলিশ।