বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- ফতুল্লার সেই বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দিনের ঘটনায় কাশীপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আইয়ুব আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত ডিসি (সার্বিক) শামীম বেপারী প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
পাঁচ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে কয়েকশ ডকুমেন্ট ও ভিডিও ফুটেজ জমা দেয়া হয়েছে। ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে ভুক্তভোগীকে জরিমানা করা ইউএনও আরিফা জহুরাকে সরাসরি দোষী করা না হলেও ভবিষ্যতে ৩৩৩ এর ফোনের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুধু স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ওপর নির্ভর না করে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, মসজিদের ইমাম এবং প্রয়োজন বোধে গণমাধ্যমকর্মীদের সহায়তা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘটনার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির যথাযথভাবে তথ্য দিতে না পারাকেই দায়ী করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সেবা গ্রহীতার আর্থিক সঙ্গতির বিষয়ে যথাযথভাবে তথ্য দিতে পারেননি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাই ভবিষ্যতে ৩৩৩ এর ফোনের ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাকে আরও সতর্ক হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবেদনটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যেহেতু প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের অধীন কাশীপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে, পরবর্তী সময়ে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে, গত ১৮ মে জাতীয় কলসেন্টার ৩৩৩ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়ে বিপাকে পড়েছিলেন ফরিদ উদ্দিন। ইউপি সদস্যের ভুল তথ্য দেয়ার জেরে ইউএনও তাকে উল্টো একশজনকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার শাস্তি দেন। পরে ফরিদ উদ্দিন সহায়তার ব্যবস্থা করেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে সমালোচনা আরো বেড়ে যায়। ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী ইউএনওকে জানিয়েছিলেন, ফরিদ উদ্দিন চারতলা বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ী। এই ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইউএনও সরকারি কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর অভিযোগে অসহায় ফরিদ উদ্দিনকে শাস্তি দেন। এ ঘটনায় গত ২৩ মে অতিরিক্ত ডিসি (সার্বিক) শামীম বেপারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন এবং সেদিনই ফরিদ উদ্দিনকে তার টাকা ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে মেম্বার আইয়ুব আলী বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। তারা প্রশাসনের লোক, তারা যা বলবেন তাই ঠিক।