বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, আমি আগেও মানুষ দ্বারা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি যে, কাদিয়ানীদের সরকারি ভাবে অমুসলমান ঘোষণা করো। এখােনও সরকারি মানুষ আছে আপনারা গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলুন অতি দ্রুত কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করতে। কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করলেই সরকারের সাথে থাকবেন, নয়তো থাকবেননা বলে জানিয়েছেন তিনি।
(০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০) শনিবার জামতলায় বিকেলে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা এই ইসলামী মহা সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক ইসলামী মহাসম্মেলনে একথা জানান শফী।
তিনি বলেন, আমাদের নবীর পর কোন নবী আসবে না। আমাদের নবী মোহাম্মদ (সা.) কে যারা নবী মানবে না, শেষ নবী মানবে না তারা কাফের। কাফের। কাফের। আমাদের নবী আল্লাহর শেষ নবী। যারা নবী মুহাম্মদ (সা.) কে শেষ নবী মানেনা তাঁদেরকে মুসলমানের কবরে দাফন করা যাবে না। কাদিয়ানীদেরকে মুসলমানের কবরে দাফন করা যাবেনা। তাঁদের সাথে আত্মীয়তা করা যাবেনা। তাঁদের মহিলাদের বিয়ে করা যাবেনা।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সত্যই তুমি (প্রধানমন্ত্রী) যদি মুসলমান হও তবে কাদিয়ানীকে অতি দ্রুত কাফের ঘোষণা করো। নয়তো এই দেশে কি হবে জানি না। প্রধানমন্ত্রী আপনি জিজ্ঞাসা করুন মানুষের কি অবস্থা। কাদিয়ানীদের অমুসলমান ঘোষণা করতে ১৬ কোটি মুসলমান সবাই একমত। এটা করলে তবে আমরা আপনার সাথে থাকবো নইলে আমরা থাকবো না। নয়তো থাকবো না। থাকবো না। তোমার মানুষ দ্বারা তোমাকে বার বার জানানো হয়েছে, তুমি কর্ণপাত করতেছ না। যদি কর্ণপাত করো তাহলে অতি দ্রুত কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করো। এরা (কাদিয়ানী) এদেশে থাকতে পারবে কিন্তু হিন্দু হইয়া এবং বৌদ্ধ হইয়া। মুসলমান হইয়া থাকতে পারবে না।’
মহাসম্মেলনেক ঘিরে যোহরের নামাজের আগে থেকেই মহাসম্মেলনে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রসার বিভিন্ন আলেম, ওলামা, ছাত্র-শিক্ষক, বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, হেফাজতের নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে লাখো মানুষের মিলনস্থলে পরিণত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে মহাসমাবেশে উপস্থিত সকলেই ছিলেন সুশৃঙ্খল। সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর ছিলেন, একই সাথে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সদস্য থাকায় মহাসমাবেশ সুশৃঙ্খলভাবেই সমাপ্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছাড়াও মহাসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরের সভাপতি নূর হোসাইন কাশেমী, বাংলাদেশ মজলিসে দাওয়াতুল হক’র আমীর আনোয়ার শাহ, বিবাড়ীয় জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম সাইদুর রহমান, মধুপুওে পীর সাহেব আব্দুল হামীদ, ঢাকার কামরাঙ্গীচর জামিয়া নুরিয়ার মুহতামিম আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, দেওনা’র পীর সাহেব মিজানুর রহমান চৌধুরী,
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী, বাহাদুরপুর পীর সাহেব আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, ঢাকার মুফাসসিরে কুরআন জুনায়েদ আল হাবীব, জাতীয় সিরাত কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ইমাদুদ্দীন, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড জামিয়া আশরাফিয়ার মুহতামিম মুফতী আবদুল বারী, মাদানীনগর মাদ্রসার মহতামিম ফয়জুল্লাহ সন্দিপী, ঢাকার মালিবাগ জামি’আ শারইয়্যাহ মুহতামিম আশরাফ আলী, বাংলাদেশ বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব আবদুল কুদ্দুস, হবিগঞ্জের মুফাসসিরে কুরআন তাফাজ্জুল হক, নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, সাবেক ধর্মমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস,
উজানীর পীরসাহেব আশেকে এলাহী, ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেব আব্দুল হাই মেশকাত, খেলাফতে মজলিসের আমীর মুহাম্মদ ইসহাক, ঢঅকা জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়ার শায়খুল হাদিস মামুনুল হক, ঢাকার কাকরাইলের মাওলানা নজরুল ইসলাম কাশেমী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুর রহমান খাঁন নদভী, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল হক কাশেমী, সাইনবোর্ডের জামিআতু ইবরাহীমের মুহতামিম শফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদেও সভাপতি আবদুল আউয়াল, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জের সেক্রেটারি আবু তাহের জিহাদী, শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।