সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় গরুর হাটের সিডিউল ক্রয়কে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
(১৩ জুলাই) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ঘন্টাব্যাপী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহীর কর্মকর্তার অফিসে এঘটনা ঘটে।
গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর (কয়লাঘাট সংলগ্ন) এলাকায় আলী আকবরে নিজস্ব ভুমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের সিডিউল ক্রয়ে বাধা দেয় স্থানীয় বেপারীবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারি নাজির আহমেদের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন। এনিয়ে নাজিরও তার লোকজন সিডিউল বিক্রেতা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের কক্ষের দরজায় লাথি ও কিলঘুষি মেরে ভাংচুরের চেষ্টা করে।
সিডিউল ক্রয় করলে হাত কেটে নেয়া, রক্তের বন্যা বহিয়ে দেয়াসহ হুংকার দিয়ে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের রুমের দরজায় লাথি মেরে আতংক সৃষ্টি করেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশেরে পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
এসময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নাজির ও তার উত্তেজিত লোকজনকে উপজেলা ভবনে বাহিরে সরিয়ে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। তখন নাজির ও তার লোকজন আবারো উত্তেজিত হয়ে কলাপসিবল গেট ধাক্কা দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে নাজির আহমেদ জানান, আমরা মসজিদের উন্নয়নের জন্য এলাকার যুবসমাজকে সাথে নিয়ে কয়লা ঘাট সংলগ্ন হাটটি প্রস্তুত করি । আজ সেই হাটের সিডিউল বিক্রি হচ্ছে উপজেলায় আমাদের দাবী আমাদের এ হাটের সিডিউল যাতে কেউ না ক্রয় করেএজন্য উপজেলায় সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও কিছু লোকজন ঐ হাটের সিডিউল ক্রয়ের চেষ্টা করে এতে আমাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন,ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা বলেন, গরুর হাটের সিউিউল যে কেউ ক্রয় করতে পারবে। যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে আইনগন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘন্টা দেড়েক পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় আবার সিডিউল বিক্রি শুরু হয়।