বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিক্ষোভ সমাবেশে মিছিল নিয়ে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের যোগদান মিল্টন সমাদ্দারের সব অপকর্ম তদন্ত করে বের করা হবে, হারুন শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রেখে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, স্বীকারোক্তিতে রোমহর্ষক বর্ণনা ধর্ষকের অয়ন ওসমানের ছবি ব্যবহার করে কুতুবপুরে রায়হানের অপরাধ জগত ফতুল্লায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূঁকে মারধর পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মৃত সদস্যদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ধৈর্য এর সাথে প্রত্যেকটি ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, লিপি ওসমান ফতুল্লায় মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় রায়হান গ্রেফতার সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু

বজ্রপাতে ১৭ বরযাত্রীর মৃত্যু, লাশ চুরি ঠেকাতে কবরের উপর সিমেন্টের ঢালাই

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- বাড়ির উঠানে কবরের সারি। লাশ চুরি ঠেকাতে বজ্রপাতে মৃত ১৭ জনকে দাফন করা হয়েছে বাড়ির সামনে। শুধু তাই নয়, রড-সিমেন্ট দিয়ে কবরের ওপর ঢালাইও দেওয়া হয়েছে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এসব কাজ করেন মৃতদের প্রতিবেশীরা।

বজ্রপাতে কেউ মারা গেলে সেই লাশ মূল্যবান কোনো বস্তু কিংবা ম্যাগনেটে পরিণত হয়। এমন ধারণা থেকে দেশে প্রায় বজ্রপাতে মৃতদের লাশ চুরির ঘটনা ঘটে। সেই আশঙ্কা থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

বুধবার রাতে পারিবারিকভাবে নিজ নিজ এলাকায় জানাজা শেষে ১৭ জনকে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চর সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে গিয়ে কবর ঢালাইয়ের এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।

স্থানীয় খাইরুল ইসলাম ও শিমুল পারভেজ জানান, যারা মারা গেছেন তারা সবাই নতুন বিয়ে করা আল-মামুনের আত্মীয়। একই পরিবারে তার নানা, নানি, মামা, মামিসহ সাতজন মারা গেছেন। ওই পরিবারে একটি ছেলে ছাড়া কেউ বেঁচে নেই। আরেকটি পরিবারে তিন বছরের একটি শিশু ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই। এমন ঘটনায় পুরো গ্রামবাসী কাঁদছে।

আমিনুল ইসলাম নামে আরেকজন জানান, বর মামুনের বোন ও দুলাভাইও বজ্রপাতে মারা যান। কিন্তু তার বোনের কোলে থাকা তিন বছরের সন্তানটি বেঁচে গেল।

বরযাত্রী মোফজ্জল হোসেন বলেন, আমরা রওনা দেওয়ার পর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। একদিকে উত্তাল পদ্মা নদী অন্যদিকে আকাশে ঘনকালো মেঘ। নদীর ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। তখন নৌকায় থাকা সবাই তড়িঘড়ি নদীর পাড়ে থাকা ছাউনিতে যেতে থাকেন। এমন সময় বজ্রপাত হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে সবাই মাটিতে পড়ে যান। পরে যার কাছেই যাই দেখি তিনি আর বেঁচে নেই। আর যারা বেঁচে আছেন তারাও ছটপট করছেন।

এক নারী বলেন, বৃষ্টির জন্য নদীর পাড়ে ছাউনি ঘরে আশ্রয় নেই। হঠাৎ বজ্রপাতের কারণে ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। একটা আলোর ফুলকি আমার ডান হাতে লাগে। পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমার পাশে লাশের সারি।

বড়ির উঠানে কবর দেওয়ার বিষয়ে প্রতিবেশী আলী হোসেন বলেন, বাপ-দাদার আমল থেমে শুনেছি বজ্রপাতে মৃতদের লাশ চুরি হয়। সেজন্য বাড়ির আঙিনায় সবাইকে দাফন করা হয়েছে। এতে সার্বক্ষণিক আমরা এসব লাশ পাহারা দিতে পারব।

বুধবার নৌকায় করে সদর উপজেলার নারায়ণপুর থেকে পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা এলাকায় কনে আনতে যাচ্ছিলেন বরযাত্রী। ওই সময় বজ্রপাতে পাঁচ নারীসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD