মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লার কুতুবপুরে মাসুদ হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত আসামীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এখনো বাকি আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবারের চরম অসন্তোষ। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সোহাগ চৌধুরী বলছেন, হত্যায় জড়িত প্রধান আসামি সোহেল ও রাজুকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামীরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও গ্রেফতারের চেষ্টা আব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৪ জুলাই ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায় লাবনী জুস কারখানার সামনে পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দিন দুপুরে সোহেলের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাসুদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিন রাতে নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পাগলা নয়ামাটি শাহী মহল্লার আইয়ুব আলীর পুত্র গ্রেপ্তারকৃত সোহেল, একি এলাকার ইদ্রিসের ছেলে রনি, সেলিম কসাইয়ের ছেলে শাওন, স্বপনের ছেলে ইমরান, খেতাবের ছেলে মাসুম, ওলী সরদারের ছেলে গ্রেপ্তারকৃত রাজু, সুলতান ছেলে বাবু, মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে আকাশ, সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকলেও মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। পরবর্তীতে সোহেল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেছে। পরে সেই মামলার ৬ নাম্বার এজাহারভুক্ত আসামি রাজুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত মাসুদের বড় ভাই দুলাল বলেন, আমার ভাইকে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে হত্যা করে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। ওই দিনই রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যার অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করি। থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে হত্যা মামলা রজু করে।
আমার ভাই মাসুদ হত্যার ২১দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামীদের থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় বিচার না পাওয়ার আশংকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাসুদ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।