মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানার ভেতর থেকে আরো চারটি মরদেহের হাড়ের ৮০টি খণ্ড খণ্ড অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া হাড়ের খণ্ডগুলো ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নারায়ণগঞ্জ জোনের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় আগুনে পুড়ে যাওয়া হাসেম গ্রুপের সেজান জুস কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত দিনব্যাপী তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভবনের চতুর্থ তলার এক কোনায় চারটি মরদেহের খণ্ড খণ্ড ৮০টি টুকরা হাড় অংশ উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, চার থেকে পাঁচদিন আগে হাসেম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিন, সাজ্জাদ ও লাবনীর পরিবারের অভিভাবকরা মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে তিনটি পৃথক আবেদন ও আরেকটি আবেদন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আবেদন করেন। তাদের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইডি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ভবনটিতে তল্লাশি করা হয়। ভবনের চতুর্থ তলার রেজিং ও ফুয়েলের সাইড থেকে চারটি মরদেহের মাথার ২টি খুলিসহ হাড়ের বিভিন্ন অংশের ৮০টি খণ্ড হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া হাড়ের ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া ভবনটির নিচতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ কেমিক্যাল রয়েছে। যে কারণে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশকে হিসসিম খেতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় হাসেম ফুড কারখানায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন নিহত হন এবং পরের দিন ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৮ জনের মরদেহসহ মোট ৫১ জন শ্রমিক নিহত হন। তাদের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ ডিএনএ টেস্টের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।