বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন

ফতুল্লায় সমিতির নামে কোটি টাকা আত্মসাত, প্রতারক সালাউদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে গ্রাহকের বিক্ষোভ

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লার লালপুরে “লালপুর ভাই ভাই ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায়” নামক এক সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন শতাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপন করার অভিযোগ উঠেছে।

(২০ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিকেলে ফতুল্লার লালপুর এলাকায় অবস্থিত ওই সমিতির অফিস ও অফিস সংলগ্ন মালিক সালাহউদ্দিন মুক্তির বাসা ঘেরাও করে গ্রাহকরা টাকার দাবীতে বিক্ষোভ করেছে। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা ফতুল্লা থানা গেইট সংলগ্ন মুক্তির অপর একটি ব্যবসায়ীক অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ শেষে তারা চলে যায়।তবে আজ কোন সির্দ্ধান্তে না এলে মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করা হবে বলে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানায়।

জানা যায়, বেশ কয়েক বছর পূর্বে এলাকার মৃত.আব্দুল কাদিরের ছেলে সালাউদ্দিন মুক্তি ও চিন্থিত ভূমিদস্যু আহাদ লালপুর ভাই ভাই ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি চালু করে। সমিতির প্রধান হিসেবে মুক্তি প্রতিমাসে ৩০ হাজার এবং আহাদ প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন নিতো। তারা সমিতির অর্থ দিয়ে নিজ নিজ ব্যবসা গড়ে তুলে অনত্র বিনোয়োগ করলেও গ্রাহকদের টাকা প্রদানে গড়িমিশি করে আসছিলো।সোমবার ছিলো গ্রাহকদের টাকা প্রদানের তারিখ।কিন্ত গ্রাহকটা টাকা না পেয়ে মুক্তির বাড়ী ঘেরাও সহ বিক্ষোভ করে।

সমিতির গ্রাহক ময়না বেগম জানান, মাসে ৫শ টাকা করে ডিপিএস করেছি“লালপুর ভাই ভাই ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায়” নামে সমিতিতে। মাসে ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে টাকা জমা দিতে না পারলে ৫০ টাকা করে জরিমানা নিতেন সমিতির মালিক সালাহউদ্দিন মুক্তি । এরমধ্যে তার সমিতিতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। সেই টাকা চেয়ে অনেক দিন যাবত ঘুরছি। সোমবার বিকেলে সালাহউদ্দিন সমিতির অফিসে আসতে বলে টাকা দিয়ে দিবে। তার কথা মতো এসে দেখি সে অফিস বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে আত্মগোপন করেছে। তার মোবাইলও বন্দ করে রেখেছে। পরে তার বাসায় গিয়ে জানতে পারি সে বাসায়ও নেই। কোথায় গিয়েছে তা কেউ বলতে পারেন না।

অপরদিকে সালাউদ্দিন মুক্তির সহোযোগি আহাদ মাসদাইর এলাকায় বসবাস করায় তার বাসায় গ্রাহকদের যাওয়া সম্ভব হয়নি।

গ্রাহক শহিদুল ইসলাম জানান, সরকার অনুমোদিত রেজিঃ নং ৩৪৪ দেখে লালপুর ভাই ভাই ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতিতে ডিপিএস করেছি। আমার মতো প্রায় ৩শতাধীকের বেশি নারী পুরুষ এ সমিতিতে গ্রাহক হয়েছে। প্রায় ৭/৮ বছর যাবত সমিতিটি চলছে। সম্প্রতি এ সমিতির মালিক টাকা নিয়ে গ্রাহকদের ঘুরাতে থাকে। বিষয়টি বুজতে পেরে অনেক গ্রাহকই টাকা ফেরত চায়। এতে সমিতির মালিক সালাহউদ্দিন মুক্তি দেই দিচ্ছি বলে আত্মগোপন করেছে।

গ্রাহকরা জানায়,আহাদ ও সালাউদ্দিন মুক্তি এক সাথে সমিতি চালু করে।তবে সালাউদ্দিন মুক্তির সাথেই গ্রাহকদের বেশী সখ্যতা।

এবিষয়ে জানতে সালাহউদ্দিন মুক্তির মুঠো ফোনে একাধীকবার ফোন করে তা বন্দ পাওয়া যায়। অপরদিকে আহাদ ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান,গ্রাহকদের বিক্ষোভের বিষয় শুনেছি কিন্তু কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD