শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো.ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মাদক,সন্ত্রাস ও চাদাঁবাজির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন একই ওয়ার্ডেও পাইনাদি নতুন মহল্লার বাসিন্দা হাজি মো.চান মিয়া। রবিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে হাজি চানমিয়া বলেন, পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় একটি আরসিসি সড়ক ও দেন নির্মাণ কাজ নিয়ে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদ করায় আমার ক্ষতি সাধন করায় চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। ১ নং ওয়াডে কাউন্সিলর ওমর ফারুক সেই মহলের মূল হোতা। দীর্ঘদিন ধরেই কাউন্সিলর ফারুক ও তার পিতা ইউনুস মিয়া আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের অব্যাহত যড়যন্ত্র্ েআমি ও আমার পরিবার ভয় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
১ নং ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার ওই সড়ক নির্মাণ করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। ভাই এলাকাবাসীর পক্ষে আমি সড়কটি নির্মাণ করার জন্য মেয়র বরাবর আবেদন করি। জনস্বার্থে মেয়র ডা, সেলিনা হায়াৎ আইভী সড়কের নির্মাণ কাজ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। সড়কটির পাশে আমার দুইটি বাড়ি থাকা কাউন্সিলর ওমর ফারুক নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করে। সকল বাধা উপেক্ষা করে মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ, আইডীর আন্তরিকতায় সডকটির নির্মাণ কাজের টেন্ডার আহবান করে সিটি কর্পোরেশন।
৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ ফুট প্রশস্থ আরসিসি সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজের টেন্ডার রফিকুল ইসলাম নামে একজনের বাড়ির ২ ফুট ভালা পড়ে। কিন্তু রফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর ফারুকের সাথে গোপন আঁতাত করে ২ ফুট ভাঙতে রাজি হয়নি। ফলে সড়ক নির্মাণ কাজটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে লিখিত ভাবে সিটি মেয়রকে অবগত করালে মেয়র প্রকৌশলী সুমন দেবনাঘকে দায়িত্ব দেন সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়ক নির্মাণ কাজটি দ্রুত শেষ করতে। প্রকৌশলী সুমন দেবনাথ সরেজমিন পরিদর্শন না করে কাউন্সিলর ফারুকের সাথে আতাত করে মনগড়া প্রতিবেদন দেয়।
এ বিষয়টি মেয়রের কাছে ডা, সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রকৌশলী সুমন দেবনাথকে ৩ দিনের জন্য সাময়িক করখার করেন। পাশাপাশি ১০ দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। বিদ্যমান ৮ মুট সড়কের ৬ ফুট আমার নিজস্ব জমিতে। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার দুই পাশে মালিক সমান জমি ছাড়তে হয়। সড়কের উত্তর পাশে বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম আমার সমপরিমান জমি ভজলে তার বহুতল ভবন ভাঙ্গা পড়ে। তাই আলোচনা সাপেক্ষে মানবিক বিবেচনা করে আমি একাই ৮ ফুট জায়গা দিতে সম্মতি প্রদান করি। আর রফিকুল ইসলাম তার বাড়ির বারান্দা অশ ভেঙ্গে ২ ফুট জায়গা ছাড়ার মত দিলে ১২ ফুট রাস্তা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অপরদিকে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে কাউন্সিলর ওমর ফারুক আমাকে বিএনপি নেতা বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিএনপির নেতা ছিলাম এমন কোন প্রমাণ প্রতিপক্ষ মহল পেশ বা উপস্থাপন করতে পারবেনা। ইতোমধ্যে আমি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কর্মজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। যে সংগঠনের ব্যানারে পালিত বিভিন্ন কর্মসুচির সংবাদ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চানমিয়া বলেন,মাদক বিক্রির শেল্টারসহ একাধিক চাদাঁবাজির অভিযোগ রয়েছে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে নতুন বাড়ি নির্মান করতে হলে কাউন্সিলরকে ১০ লক্ষ টাকা চাদাঁ দিতে হয় এছাড়াই নির্মান সামগ্রীগুলোও তার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে এটা বাধ্যতামুলক। এর কিছু প্রমান দিন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে চাইবেনা। তাছাড়া ওমর ফারুকের চাদাঁ বিরুদ্ধে আমিই প্রথম সাক্ষি। কারন আমার একটি চুনা ফ্যাক্টরী থেকে ফারুক চাদাঁ দাবী করে। আমি ওকে চাদাঁ না দেয়ায় সেটা এখন বন্ধ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চান মিয়ার দুই ছেলে ও জামাতা।