রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লায় মুন্না (২০) নামক এক যুবক কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছে তারেক(১৬) নামক অপর এক কিশোর। তারা উভয়েই ফতুল্লার লালপুরস্থ হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলসের শ্রমিক বলে জানা যায়।
নিহত মুন্না ময়মনসিং জেলার কোতোয়ালি থানার পলাশপুরের জাহিদুলের পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ছয়টায় ফতুল্লা থানার পোস্ট অফিস রোডস্থ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাংলাদেশ টায়ার নামক একটি কারখানার গেইটে।
প্রতক্ষদর্শীদের বর্ননা মতে,সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলের দিকে থেকে একজন মেয়ে সহ তিন জন পায়ে হেটে পশ্চিম দিকে আসছিলো বিপরীত দিক থেকে আসা ৬/৭ জনের একটি গ্রপের সাথে তাদের বাক বিতন্ডতা হয় তখন ৬/৭ জনের দল থেকে দুজন কে ছুরিকাঘাত করা হয়।একজনের পায়ের রগ কেটে যায় এবং অপরজনকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা দৌড়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে পালিয়ে যায়।মেয়েটি ও পায়ে হেটে পশ্চিম দিকে চলে যায়।
তবে ভিন্ন কথা বলছে মাথায় আঘাত পাওয়া তারেক। সে জানায়,সেও হাজী জালাল আহম্মেদ স্পিনিং মিলে চাকুরী করে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সে তার এক সহকর্মী কে নিয়ে পায়ে হেটে রেল স্টেশনস্থ বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলে আসছিলো। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ গলি পার হয়ে বাংলাদেশ টায়ার মিলসের সামনে যাওয়া মাত্র মাস্ক পরিহিত তিন যুবক তাকে ও তার সহোযোগিকে চড়,থাপ্পর ও ঘুষি মেরে তার সাথে থাকা মানিব্যাগ সহ ২১০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদর কে ছেড়ে দেয়। পরক্ষনে নিহত মুন্না ও একই রাস্তা দিয়ে স্পিনিং মিলে আসছিলো। তাকেও তারা মারধর করে ও ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাদের মিলের অন্যান্য শ্রমিকরা রক্তাক্ত মুন্না কে জেনারলে (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,নিহত মুন্না কে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তা কি শুধুই কি ছিনতাই না অন্য কোন কারনে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বিষয়টি ছিনতাই মনে হলেও বিষয়টি মেয়ে ঘটিত কোন কারনে হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।