শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

রূপগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- রূপগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। (২৫ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার রাত নয়টায় উপজেলার ভুলতা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ সময় ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে আটজন কর্মী আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ ব্যক্তিগত কাজে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রূপগঞ্জে যান। ফেরার সময় তাকে এগিয়ে দিতে যান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভুইয়া মাছুমসহ স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় মাছুমের প্রাইভেটকারের সাথে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হানজালার হাইয়েস গাড়ির ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে হানজালার সমর্থক নেতাকর্মীরা মাছুমকে লাঞ্ছিত করে।

এ ঘটনার জের ধরে পরে মাছুম গ্রুপ তার সমর্থক লোকজন নিয়ে হানজালার নিয়ন্ত্রনাধীন তেলাপাড়া ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে হানজালার সমর্থকরা একত্রিত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার ও মাছুমের ভুলতা নাহাটি ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

এসময় দুইপক্ষ মুখোমুখি সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে বেশ কয়েটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এতে আতংকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ব্যাপারে রুপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভুইয়া মাছুম বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ তার নিজের বিয়ের দাওয়াত দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে আসেন। আমার বাড়ি থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদারের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভুলতা বাস স্ট্যান্ডে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগে বহিস্কৃতি সভাপতি হানজালার নেতৃত্বে পাঁচরুখী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লবকে মারধর করছিলো। বিষয়টি দেখে আমি এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আমার উপরেও হামলা চালায়। এসময় গাড়ি থেকে কয়েকটি গুলির শব্দ হয়।

তিনি দাবি করেন, নতুন বাড়িঘর নির্মাণ বাবদ চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন পরিবহনে চাদাঁবাজি করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগ সর্বসম্মিতিক্রমে সিদ্ধান্ত মোতাবেক হানজালাকে বহিস্কার করা হয়েছে। সে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিহিংসাবশত সে এই হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি হানজালার কার্যালয়ে আগুন দেয়ার কথা অস্বীকার করেন।

তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হানজালার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে রুপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, কার্য্যালয় ভাংচুর ও আগুন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি ওসি অস্বীকার করে এই তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD