সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার-এ। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত ও দগ্ধ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত ডেইলি বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরণের কারণে বারবার বিস্ফোরিত হচ্ছিল কন্টেইনার। ফলে আগুনের তীব্রতায় কাছে ঘেঁষতে পারছিল না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডিপোতে প্রায় দেড়শ’ কনটেইনার আছে। কিন্তু রাসায়নিক দ্রব্য থাকায় বারবার বিস্ফোরিত হচ্ছে কনটেইনার। যে কারণে আগুনের কাছেও ঘেঁষতে পারছি না আমরা। প্রায় ১০০ গজ দূর থেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, অজ্ঞাত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্যাসের তীব্রতায় আমাদের প্রায় আটজন ফায়ার ফাইটার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন কার কী অবস্থা বা কোন পরিস্থিতিতে আছে তা বলতে পারছি না। পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থল থেকে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে আশপাশের অনেক বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় তুহিন নামে এক পুলিশ সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন এবং আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ডের ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। বিস্ফোরণে অনেক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতের তথ্য এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো সময় লাগবে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের সব চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে রোগীর চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী। এছাড়াও মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিতে ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। একই সঙ্গে রক্তদাতাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।