সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন, বাঙালি জাতির জীবনে আজকে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। আমরা জাতি হিসেবে আজকে আত্মমর্যাদা, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতার একটা পরিচয় সারাবিশ্বে দিতে পেরেছি। এই পদ্মাসেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করবে।
( ২৫ জুন) শনিবার সকাল পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ র্যালি শেষে তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পলাশ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। কেননা প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তা, অদম্য সাহস, সততা এবং দেশের মানুষের প্রতি তার অঢেল ভালোবাসার কারণে এই পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এই সেতু শুধু ইট-পাথরে গাঁথা একটি সেতু নয়। এটা আমাদের গৌরবের সেতু। ভালোবাসা এবং অহংকারের সেতু।
তিনি বলেন, স্ব-অর্থায়নে সর্ববৃহৎ একটি অবকাঠামো এ পদ্মাসেতু। আমাদের প্রাণের সেতু এটি। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সঙ্গে সারাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জায়গায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
পলাশ আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন আপসহীন সংগ্রাম করে গেছেন, কিন্তু কখনও মাথা নত করেননি। সে জিনিসটিই আমরা পুনর্বার দেখেছি। তার কন্যা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শত বাধা অতিক্রম করে এবং অনেক চাপ থাকার পরেও তার কাছে কখনও নতি স্বীকার না করে অবিচল থেকে তার লক্ষ্যে স্থির থেকে বাঙালি জাতি ও জনগণকে উপহার দিয়েছেন পদ্মাসেতু।
তিনি বলেন, সবকিছু নিয়েই ষড়যন্ত্র হচ্ছে এই পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি অবশেষে পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমি আজ যেই মাঠে অবস্থান করে বক্তব্য রাখছি সেই মাটিকে রক্ষা করতে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা পোহাতে হয়েছে। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মাটিক আমরা ফিরে পেয়েছি। যেমন পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান তেমনি আলীগঞ্জ মাঠ অদৃশ্যমান। তাই আমি আবারও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।