সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর ৫৭ তম জন্মদিন পালন করলো কুতুবপুরের শীর্ষ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা।

এমন একটি জন্মদিনের কেক কাটার ছবি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু সাথে ছাত্রলীগ নেতা আখতারুজ্জামান লিমনের ভাগিনা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তানভীর।

এদিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু বিভিন্ন সভা সমাবেশে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা বললেও অথচ তার সাথেই মাদক ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আখতারুজ্জামান লিমন। বহু বছর ধরে ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগের এই পরিচয় দিয়ে এলাকায় তার প্রভাব খাটিয়ে ভাগিনা তানভীর এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, মাদক সেবনসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন।

অপরদিকে একই সময় নন্দলাপুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সাগরকে চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর জন্মদিনের ফটো সেশনে দেখা যায়। যা কুতুবপুরের সচেতন মহলের বিভিন্ন মানুষের সমালোচনার সৃষ্টির জন্ম দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী পাগলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ নন্দলালপুর এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মেহেদী হাসান সাগরকে গ্রেপ্তার করেছিল ফতুল্লা মডেল থানার এস আই শামীম ও এস আই আসিক ইমরান।

এ বিষয়ে সচেতন মহল বলেছেন তিনি কুতুবপুর কে মাদকমুক্ত করতে যে বক্তৃতা দিয়েছেন আসলে সেটি কি লোক দেখানো। তা না হলে তারই জন্মদিনে কুতুবপুরের শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা তার জন্মদিনে কিভাবে উপস্থিত থাকে। তাহলে কি তিনি বাহিরে এক কথা বলছেন।

স্থানীয় প্রবীণ এক আওয়ামী লীগ নেতা এ বিষয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপিকে ম্যানেজ করে বিএনপি থেকে মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার প্রতীক হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু স্বার্থের জন্য মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো তারই নিয়ন্ত্রণ চলছে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি। তিনি কখনো তার বক্তব্য শেষে জয় বাংলা বললেও জয় বঙ্গবন্ধু বলেনি। এটাই প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগকে কতটা ভালোবাসেন এই চেয়ারম্যান।