মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহরিয়ার রেজা হিমেল ও তার চাচা যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মারধরের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। (৪ অক্টোবর) রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ অভিযোগে মাননবন্ধন করে পরিবারটি।
মানববন্ধনে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশার গ্যারেজ মালিক শফি প্রধান জানান, ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার রেজা হিমেলের চাচা স্থানীয় যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান, জুয়েলসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে মারধরের অভিযোগে গত ডিসেম্বরে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করে তার ছেলে মো. বাদল। এই মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা হিমেল তার অনুসারীদের দিয়ে দু’টি সাজানো মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শফি প্রধান। রোববার দুপুরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
শফি প্রধান বলেন, বছরখানেক আগে তার গ্যারেজের সামনে রিকশা রাখাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা মজিবুর রহমান তাকে ও তার তিন ছেলেকে মারধর করে। এ ঘটনায় তার ছেলে বাদল ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করলে তা তুলে নিতে ছাত্রলীগ নেতা হিমেল, তার চাচা মজিবুর ও জুয়েল তার পরিবারকে কয়েক দফা হুমকি দেয়। তাদের অনুসারীদের দিয়ে মারধরও করে। তারপরেও মামলা তুলে নিতে রাজি না হলে ওই ছাত্রলীগ নেতা নিজের অনুসারীদের দিয়ে ফতুল্লা থানা ও নারায়ণগঞ্জ আদালতে দু’টি মামলা দায়ের করে তাদের পরিবারকে হয়রানী করছে এবং আরো মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। মামলা চালানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বাধ্য হয়েই পুরো পরিবারকে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন বলে জানান শফি প্রধান। মানববন্ধনে তার স্ত্রী ও তিন ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও তার চাচা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে শফি প্রধান বলেন, হিমেলের শেল্টারে তার চাচা মজিবুর ও জুয়েল এলাকায় সাধারণ মানুষদের অনেক অত্যাচার করে। সস্তাপুরে অনেক পরিবারকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা দিয়েছে। সাইনবোর্ড লাগিয়ে বাড়িঘর দখলেরও অভিযোগ করেন তিনি।
এসব অভিযোগে অস্বীকার করলেও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি মিমাংসার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহরিয়ার রেজা হিমেল। তিনি বলেন, এক বছর পূর্বে চাচার বিরুদ্ধে মারধরের মামলাটি করা হয়েছিল। মিমাংসার জন্য আমি তাদের নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু তারা পরবর্তীতে মিমাংসা করতে চাননি। স্থানীয় কিছু লোকের ইন্ধনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।