মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে ওই দিন থেকে বাংলাদেশ পেছনে যেতে থাকে। আমাদের রাজনীতিতে আসতে হয় গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।’
(১৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লার ৩নং ওয়ার্ডে থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, জাতির জনকের কন্যা বুধবার শোক দিবসের সভায় ভাষণ দিয়েছেন। ওই ভাষণ ফলো করলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে ঘটনা কোনদিকে মোড় নিচ্ছে।
শামীম ওসমান বলেন,‘শেখ হাসিনা মাত্র ৩১ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। ওরা কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি। জাতির জনকের কন্যাকে ২২ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে ২০০১ সালে বোম ব্লাস্ট হয়েছিল। তখন একটা কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। কারণ আমি মারা গেলে কিছু হবে না। শেখ হাসিনা না থাকলে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘‘১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছিল আমাদের স্বপ্নকে। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমরা যারা রাজনীতি করছি, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশটা অন্যরকম থাকত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি মানুষের অধিকার চাই।’ তিনি সারাজীবন জেলে কাটিয়ে জনগণকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু মোশতাক, জিয়াউর রহমানসহ ওরা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে জাতির জনককে হত্যা করেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘জাতির পিতা জাতিসঙ্ঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা তার মৃত্যুর কারণ। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শোষক নয়, শোষিতের পক্ষে।’ এ কথাটা বিশ্ব মোড়লরা ভালোভাবে নেয়নি। যারা স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, তারা এটা ভালোভাবে নেয়নি। তখনও তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল, বঙ্গোপসাগর চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, কারো কাছে আমি দেশের জমি বিক্রি করব না।’’
তিনি জানান, ‘‘শেখ হাসিনা হত্যার পরিবর্তে হত্যা করেননি। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা ৫০ থেকে ৬০ জন বলেছিলাম যে স্পেশাল ট্রাইবুনালে এক বছরের মধ্যে বিচার করে তাদের ফাঁসি দেন। তিনি বললেন, ‘না, আমি প্রচলিত আইনেই বিচার চাইব।’ ১৬ জুন বোমা হামলার পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমরা নাকি শেখ হাসিনার পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করানোর জন্য বোমা মেরে আমাদের ২০ জন লোককে হত্যা করেছি। এত নোংরা ও নৃশংস তারা।’’
তিনি আরো বলেন, ‘২০০১ সালের পর আমাদের কত মানুষ তারা মেরেছে আপনারা জানেন। এই হাত দিয়ে ৫০ জনের লাশ দাফন করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে খুন করিনি। আমরা কারো বাড়িতে আগুন দেইনি, কারো অর্থ সম্পদ লুট করিনি। কারণ আমাদের কাজ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।’
উক্ত শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল,জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব রাসেল আহম্মেদ মাসুম,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরফান মাহমুদ বাবু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ মোবারক হোসেন,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ বাদশা মিয়া,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১,২,৩নং ওয়ার্ড সভাপতি হাবিবুল কবির হাবিব,বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফতুল্লা থানা সাধারন সম্পাদক হাজী আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা এনায়েত হোসেন খোরশেদ,আলহাজ্ব শেখ মোঃ ইউসুফ আলী,সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবকলীগ এস,এম,হোসাইন বিপু, প্রচার সম্পাদক ১,২,৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মিন্টু পাল,আওয়ামীলীগ নেতা এ.কে.এম.শাহীন, সহ সম্পাদক নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ মোঃ রুবেল চৌধুরী, নুরহোসেন,আলামিন, সদস্য ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মিজানুর রহমান , আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ বাবুল, ১,২,৩নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার ওম্মে তাহেরা আখি,কাজী রোখশানা আলম কোয়েল।