মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন দেশের যোগাযোগ খাতের জন্য আরেক মাইলফলক এবং এটি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
(২ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগ খাতের জন্য নতুন মাইলফলক। আমি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেছি। এর অবশিষ্ট অংশের কাজ শিগগিরই শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার বাসিন্দাদের এবং সারাদেশের জনগণকে উপহার হিসেবে দিলাম। এটি রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় ঢাকাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে যানজট কমাতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুড়িল, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও কমলাপুরের অন্তর্ভুক্ত ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ এলাকাগুলো যানজট নিরসনে ব্যাপক অগ্রগতির সাক্ষী হবে বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। পরে দেশ ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৭ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান।
শেখ হাসিনা এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে এক্সপ্রেসওয়ের নামফলক উন্মোচন করেন। পরে মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এক্সপ্রেসওয়ে টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর গাড়ি নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েটি অতিক্রম করেন। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে কাওলা ও পুরাতন বাণিজ্য মেলা প্রান্তে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আগামীকাল বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দুটি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।