বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লায় সিগারেটের ধোঁয়াকে কেন্দ্র করে সালমান নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া ক্যানেলপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালমান (১৭) খুলনা জেলার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা গ্রামের ভ্যান চালক মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে। ফতুল্লার পাগলা চিতাশাল কুসুমবাগ এলাকার ২নং গলির শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় এ হত্যাকান্ডটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় কুতুবপুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য জামান মিয়া ও কিশোরগ্যাং লিডার রায়হান। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ও কিশোর গ্যাং লিডার রায়হানের হুমকি ধামকিতে নিহতের পরিবার ভয়ে গোপনে লাশ দাফনের চেষ্টা করে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ।
নিহতের মা খুকু বেগম জানান , বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ক্যানেলপাড় এলাকায় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাড়িয়ে ছিলো। তখন জাহিদ নামে এক ছেলে সিগারেট ধরায়। এতে সালমান তাকে দূরে গিয়ে সিগারেট খেতে বলেন। এতে জাহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে এসে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাথারি মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় কোন মতে বাসায় এসে মাটিতে লুটে পড়ে । দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পথে গাড়িতেই মৃত্যু হয় সালমানের।
তিনি আরো বলেন, সকালে জামান মেম্বার আমাদের বাসায় এসে বলেন তোমাদের ছেলে নেশাপানি করে মারাগেছে। এ বিষয় নিয়ে থানা পুলিশ করলে লাশটা পুলিশ নিয়ে যাবে, কাটা ছেড়া করবে। ছেলে মারাগেছে সে আর ফিরে আসবেনা লাশটা দাফন করে ফেলো। পরে যাদের সাথে মারামারি হইছে তাদের ডেকে মিমাংসা করে দিবো।
তখন আমার স্বামী কয়েকজনের কাছ থেকে দাফন কাফনের টাকা তুলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। এসময় পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে কুতুবপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জামান মিয়া বলেন, এক ছেলে ফোন করে জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে ক্যানেলপাড় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে পোলাপান ঝগড়া করেছে। এতে মারধরে একজন মারাগেছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে নিহত ছেলের বাবার সাথে ফোনে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তখন নিহতের বাবাকে বলেছি আপনে ইচ্ছে করলে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করতে পারেন আমি সহযোগীতা করবো। আর যদি তা না চান তাহলে মামলা করতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলিনি, আর তাদের বাসায়ও যাইনি থানা পুলিশকেও সংবাদ দেইনি।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে মামলা হবে।