শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- কুতুবপুর ইউনিয়ন এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আমিন হোসেন সাগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (২৯ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তাকে কুতুবপুরের মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ক্যাবল টিভি (ডিশ) ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকায় তাকে বেদম প্রহার করা হয়। এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আমিন হোসেন সাগরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় বুধবার ২৮ অক্টোবর কালে মামলা দায়ের করা হয়।
হামলার শিকার মিজানুর রহমান মিজান মাহমুদপুর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান মিজান কুতুবপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি।
মিজানের স্ত্রী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, মিজানের ছোট ভাই আলী নূরের ক্যাবল ব্যবসা রয়েছে। ক্যাবল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে মিজান ও তার ভাই আলী নূরের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল স্থানীয় আনিছুর রহমান ভুলু, আব্দুর রহমান, আমিন হোসেন সাগর, তাইজুল ইসলাম তাজু, মজিবুর রহমান, হান্নান মিয়া শান্তসহ কয়েকজনের সাথে। এরই জেরে মঙ্গলবার দুপুরে মিজানকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মাহমুদপুর তাইজুদ্দিন মার্কেটের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে বেধরক পেটানো হয়। এ সময় মিজানের হাত ও পা ভেঙে ফেলা হয়। গুরুতর আহত মিজানকে সড়ক থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান স্ত্রী স্বপ্না বেগম।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কুতুবপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রেস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, এলাকায় ক্যাবল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ৫-৬টি গ্রুপ রয়েছে। সব গ্রুপের থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিন হোসেন সাগর মাসিক চাঁদা নেন। এই চাঁদা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই আলী নূর ও তার বড় ভাই ছাত্রলীগ নেতা মিজানুরের সাথে দূরত্ব তৈরি হয় আমিন হোসেনের সাথে। এরই জেরে মিজানুরকে মারধর করা হয়েছে অভিযোগ জাহাঙ্গীর হোসেনের।
তিনি বলেন, আওয়াীলীগ নেতা মিজান আমিন মেম্বারের হয়ে তার নির্বাচনে কাজ করছে। তারই লোক ছিল মিজান। ডিস ব্যবসার চাঁদা দেওয়া নিয়ে মেম্বারের লগে মন কষাকষি হয়। মেম্বারের উস্কানিতেই এই মারধর। পোলাডার ডান হাত মনে হয় রাখা যাইবো না। পুরা গুড়া হইয়া গেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিন হোসেন সাগর। ক্যাবল ব্যবসার সাথে জড়িত নন দাবি তার। তিনি বলেন, এই এলাকায় ডিস লাইন নিয়ন্ত্রণের অনেকগুলো গ্রুপ আছে। তাদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে। এর মধ্যে অযথাই আমাকে জড়ানো হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে মারধরের ঘটনার মামলায় ইউপি মেম্বার জি, এম আমীন হোসেন সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।