সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- কুতুবপুরে অসহায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহিদুলের কষ্টে জীবন-যাপনের কথা শুনে চায়ের দোকান উপহার দিয়েছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মিরু
(৯ নভেম্বর) সোমবার দুপুরে পাগলা রেলষ্টেশন এলাকায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর কাছে দোকানের চাবি হস্তান্তর করা হয়। দোকানটি পেয়ে মীর হোসেন মিরুর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহিদুল । চা বিক্রি করে এখন থেকে চলবে তার সংসার।
মীর হোসেন মিরু বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহিদুল স্ত্রীকে সংগে নিয়ে কখনো ট্রেনে, কখনো বাসে, কখনো হাটে বাজারে আবার কখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাতেন। কিন্তু করোনাকালে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয়ে গেলে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ফলে চরম অভাব-অনাটনে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবারটি। তাদের দুঃখের কথা শুনে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে একটি ছোট টং দোকান ও নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। যাতে তারা দুই বেলা খেয়ে বাঁচতে পারে। কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা পেয়ে অসহায় অনেক খুশি হয়েছেন। আমিও তাকে সাহায্য করতে পেরেও অনেক খুশি।
মীরু আরো বলেন, এক মাসের চাল-ডাল কিনে দিলে অভাব দূর হতো না ওই দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর । তাই স্থায়ীভাবে অসহায় পরিবারটির অভাব দূর করার জন্য একটি চায়ের দোকানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমাজের বিত্তবানদের এমন কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শহিদুল বলেন, অনেক কষ্ট কওে ভিক্ষা করে আমার বড় দুই সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছি। বড় ছেলে রাকিবুল ইসলাম তোলারাম কলেজে বি এ পড়ছে মেঝো মেয়ে শুর্মিলাও একই কলেজে আই এ”র ছাত্রী। অন্য দুই সন্তান আলামিন ও মিম এখনো অনেক ছোট। কিন্তু করোনা কালীন সময়ে দেশে লকডাউনে প্রতিবন্ধী শহিদুলের পরিবারে চরম অভাব অনটন দেখা দেয়, সরকারি ত্রান সহায়তা যা পেয়েছে তা দিয়ে কোনমতে চললেও ছেলেমেয়ের পড়াশুনার খরচ চালাতে গিয়ে যখন হিমসিম খাচ্ছি তখন মিরুর আমাকে একটি চায়ের দোকান উপহার দেন। তাই আমি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রাথনা করছি আল্লাহ জেন তাকে আমাদের মত সকলকে সাহায্য করতে পারে।