রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন
সংবা নারায়ণগঞ্জঃ- ফতুল্লায় কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মুন্নার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী ফাইজা আক্তার এ্যানি । (১৫ এপ্রিল) কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মুন্নার বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাইজা আক্তার এ্যানি থানায় এই সাধারন জায়েরী করেন। (যাহার নং-৭৭০)। অভিযোক্ত মোঃ মামুনুর রশীদ মুন্না মোঃ দুলাল হোসেনের ছেলে।দেউলপাড়া কলেজ রোড এলাকার ভাড়াবাসায় বসবাস করে।
ভুক্তভোগী ফাইজা আক্তার এ্যানি পাগলা নয়ামাটি মুসলিমপাড়া এলাকার আবু তাহের মিয়ার মেয়ে ও
সাধারণ ডাইরী সূত্রে জানাযায়, কথিত নামধারী সাংবাদিক মুন্না ও ফাইজা আক্তার এ্যানির আড়াই বছর পূর্বে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঘর সংসার করিয়া আসছিল। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান মাইমুনা (০১) জন্মগ্রহণ করেন। এ্যানির সাথে বছরখানেক আগে থেকেই মুন্না ও তার পরিবারের লোকজন দূর্ব্যবহার করে আসতেছে এবং এ্যানির সাথে ঘরে সংসার করিবেনা বলেও তালাক প্রদানের হুমকি দিতে থাকে।
এ্যানির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে বাদীর ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে। বর্তমানে বিবাদী তাহার তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সেলিনা (৩১) এর সহিত অবৈধ কর্মকান্ড করে বেড়ায় এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করার পায়তাড়া করছে।
সাধারণ ডাইরী সূত্রে আরো জানাযায়, নামধারী এই সাংবাদিকের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায়, এ্যানির পিত্রালয় অবস্থানকালীন তাহাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে নিয়ে আর ঘর সংসার করিবেনা বলেও হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় মুন্না তাহার বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করিতে পারে আশংকা হচ্ছে বিধায় বর্ণিত বিষয়ে ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডাইরীভুক্ত করার আবেদন করেন।
এ বিষয়ে পাগলা নয়ামাটি এলাকার নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কথিত সাংবাদিক মুন্না টার্গেট করে এলাকার বিভিন্ন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের। তাদের কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে চাঁদাদাবী করে। যদি কেউ দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা শিকার করে তাহলেই সেইসব সম্মানি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাদাবী করে মারধরের শিকার হয়েছেন।এতকিছুর পরেও এই অশিক্ষিত ব্যক্তি কিভাবে এক মহৎ পেশার নাম ব্যবহার করে দিব্বি ঘুরেবেড়ায় সেইটা আমাদের বোধগম্য হয় না।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেবাশীষ কুন্ড বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত জিডি পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তধীন আছে।