শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
সংবা নারায়ণগঞ্জঃ- ফতুল্লার কোতালেরবাগে কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডবে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না করায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙ্গে পিতা-পুত্রকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় বুধবার রাতে কাদির ও বৃহস্পতিবার সকালে সুমন নামে দুজন ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কাদিরের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার আমির কন্ট্রাক্টর তার ছেলে সুমন ও তাদের সহযোগী আরাফাত এবং ফারুক সহ অজ্ঞাত ৮/১০জন পূর্বশত্রুতার জের ধরে বুধবার রাত ৯টায় কোতালেরবাগ এলাকায় অবস্থিত কাদিরের ব্যবসায়ীকঅফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ থাই গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় প্রতিষ্ঠানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে নগদ ২লাখ ৯০ হাজার ৫শ টাকা লুটে নেয়। কাদির কোতালেরবাগ এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে। সে নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা দাবী করলেও দলীয় কোন পদপদবী তার নেই।
সুমনের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুমন সিমেন্ট ব্যবসায়ী ও তার বাবা আমির কন্ট্রাক্টর রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ১৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ একদল কিশোর সন্ত্রাসী মাতালের ন্যায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে সুমনের সিমেন্ট বিক্রির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালায়। প্রতিষ্ঠানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা লুটে নেয়।
এসময় উপস্থিত লোকজন তাদের কাছে সুমন ও তার বাবা আমিরের অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই সন্ত্রাসীরা ৩জনকে মারধর করে চলে যায়। ওইদিন রাতেই সুমন সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর থেকে তান্ডবকারী সন্ত্রাসীদের পক্ষে কাদির স্বশরীরে সুমনের বাসায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে একাধীকবার মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দেয়। হুমকিতে তারা মামলা প্রত্যাহার না করায় কাদির তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ২১ এপ্রিল রাতে নিজের অফিস কক্ষ ভাংচুর করিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এবিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়ে সুমন বৃহস্পতিবার বিকেলে কাদিরের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবশ্যই দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।