মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- বাদী নিজেও জানেন না যে তাকে পুলিশ সাদা কাগজে যেখানে সই করতে বলেছে তার জন্য মামলা করা হবে। সকাল ৯টায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় সন্ধ্যানাগাদ তিনি জানতে পারেন যে,চাদাঁর দাবীতে আটক হুমায়ূন আলীকে পুলিশ চাদাঁবাজি মামলা দিয়েছে।
এর আগে ইজিবাইকে চাঁদাবাজী ও ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেবার অভিযোগে হুমায়ুন আলীকে অভিযুক্ত করে জেলার সদর থানার চর সৈয়দপুরের মোঃ আক্তার হোসেনের পুত্র ইজিবাইক চালক মোঃ অন্তর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়েরকরেন।গত বুধবার বিকেলে তাকে পঞ্চবটী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে বাদী অন্তর রবিবার ( ৩০ মে ) উক্ত মামলার আসামী হুমায়ূন আলীর পক্ষে আদালতে গিয়ে মামলা সর্ম্পকে অবহিত করেন গনমাধ্যমকর্মীদের।
অন্তর বলেন, ঐদিন সকাল ৯টায় চরসৈয়দপুরএলাকায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সাথে ইজিবাইক চালকদের ঝগড়া হয়। ফোন পেয়ে সে সমস্যার সমাধান করতে উক্ত স্থানে যায় হুমায়ূন আলী। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশসহ ২/৩জন সাংবাদিকউপস্থিত হন।
সেখানে পুলিশ আমি অন্তরসহ অপু, হাশেম, রাসেল, মো.সেলিম,মো.ইয়াসিন,মো.হাসানকেএকটি সাদা কাগজে সই করতে বলেন এবং তিনি এও বলেন যে, তোমরা হুমায়ূনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করছো
এ জন্য সই নেয়া হলো।সাংবাদিকদের কাছে ইজিবাইক চালক এবং চাদাঁর দাবীতে আটক হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অন্তর আরো বলেন,হুমায়ূন ভাইতো সেখানে গিয়েছেন আমাদের সাথে মুন্সিগঞ্জের কিছু ইজিবাইকচা লকের সাথে যে ঝগড়াহ হয়েছিলোতা মিমাংশা করতে।
অথচ কিছু না বুঝে উঠার আগেইপুলিশ আমাদেরকে দিয়ে সাদা কাগজে সই নিয়ে একটি মামলা করলেন তাও আমরা জানলাম সন্ধ্যার পর। যেহেতু হুমায়ূন ভাই আমাদেও কোন ক্ষতি করেননি তাই আজ আদালতে দিয়ে আমি আমার অবস্থান সর্ম্পকে বিজ্ঞ আদালতকে বলে আসলাম।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, এখন আমার মামলা করতে ঘুরতে হয়না। বাদী লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ করেছেন তারপর হুমায়ূন আলীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোঃ রকিবুজ্জামান বলেন, মামলার বাদী কি বলে সেটা বিষয় না, মামলা হয়েছে এটাই বড় বিষয।