মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:- যৌতুকের দাবীতে লিজা আক্তার(৩০)নামক এক গৃহবধূ কে গরম পানি পানি দিয়ে জ্বলসে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী, শ্বাশুড়ি ননদ সহ পাঁচ জনকে আটক করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(২১ জুন) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায়।এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হেসেন (৪২),শ্বাশুড়ি খোদেজা(৬০), স্বামীর বোন রোকসানা বেগম(৩০) আফসানা(২৫),মনি বেগম(২২) কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,
বিগত ০৯ বছর পূর্বে তার মেয়ের সাথে পাগলা নন্দলালপুর বৌ বাজার এলাকার মৃত আলমাস মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন যৌতুকের দাধীতে বাদীর মেয়েকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো।মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের চাহিদা পূরন করার চেস্টা করতো তারা।
তারপর ও আসামীরা বাদীর মেয়ের উপর নির্যাতন অব্যাহত রাখে।এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্তরা তার মেয়েকে মারধর করছে এমন সংবাদ লোকমুখে জানতে পেরে তিনি সহ তার ছেলে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনেই তার মেয়েকে মারধর সহ চুলায় থাকা গরম পানি নিয়ে এসে তার মেয়ের শরীরের উপর ছুড়ে মারে।ফলে তার মেয়ের ঘাড় হইতে দুই পা পর্যন্ত জ্বলসে যায়। তখন তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা বাদীর মেয়েকে ঘরের ভিতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,গরম পানি দিয়ে জ্বলসে দেওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।নির্যাতিত গৃহবধূর সাথে এখনো তারা কথা বলতে পারেন নি।তার সাথে কথা বলতে পারলে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন বলে তিনি জানান।