মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:- ফতুল্লার হাজিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিহত যুবক হৃদয়ের(২৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রনি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছন।নিহত হৃদয় ফতুল্লার হাজীগঞ্জ উচাবাড়ি এলাকার খোকন মিয়া ও সালমা বেগমের দ্বিতীয় ছেলে।
২১ জুন সোমবার নিহতের ভাই রনি বাদী হয়ে ফতুল্লার পশ্চিম হাজীগঞ্জ বন্যাপাড়া সুমনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া আব্দুল করিমের ভাড়াটিয়া পারভেজ ওরফে জামাই পারভেজ(২৫),একই থানার পশ্চিম হাজীগঞ্জের ওয়াপদার পুলের প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন উচা বাড়ীরনমৃত রমজান আলীর পুত্র সেকান্দার(৪০), একই এলাকার মৃত আব্দুল আলীমের পুত্র মাহাবুব(৩৫),মৃত সামাদের পুত্র দুলাল(৩৫) ও মোঃ রাহাত(২৪)’র নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থামায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামী সেকান্দার কে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যায়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত আসামীরে সঙ্গে হৃদয় দীর্ঘদিন চলাফেরা ও মাদক সেবন করে আসছে। এতে মাদক নিয়ে বিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে হত্যার রহস্য গোপন করতে হাজীগঞ্জ স্কুল মাঠে বৃষ্টির পানিতে লাশ ফেলে রাখে।
উল্লেখ্য,গত রোববার বিকেলে ফতুল্লার হাজীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে একটি ভবনের সামনে মাথায় আঘাত করে ও পিটিয়ে হত্যা করে হৃদয়ের মরা দেহ বৃষ্টির পানিতে ফেলে রাখা হয়।
নিহতের মা সালমা বেগম জানান,তার ৪ ছেলে এক মেয়ের মধ্যে হৃদয় দ্বিতীয়। সে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। স্থানীয় কিছু মাদকাসক্ত বন্ধুদের সাথে চলাফেলা করতো। এতে হৃদয়ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তাকে অনেক বার নিষেধ করার পরও মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গেই চলাফেলা করত হৃদয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান,মামলা গ্রহন করা হয়েছে।মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী সেকান্দার কে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত সেকান্দারকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।অপর আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।