মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া বস্তিতে দুই পক্ষের টানা চারদিনের সংষর্ষে অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আতঙ্কে বস্তি ছাড়ছে অসংখ্য পরিবার।
(৬ জুলাই) মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের মূল হোতা সন্ত্রাসী বজলুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি তার বাহিনীর ১০ সজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বজলু পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় চনপাড়া বস্তিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক
পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার করতে বজলু বাহিনীর প্রধান বজলু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসী জয়নাল, শমসের, স্বপন, শাওন, নাজমা, বজলুর ভাই বোতল মিজু ও শ্যালক জাকিরসহ সন্ত্রাসীদের একটি বড়দল চনপাড়াকে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। সম্প্রতি বজলুর সব ধরনের অপকর্মে বাধা দেয় যুবলীগ কর্মী শাহীন ও রাজাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায় বজলু বাহিনী। এক পর্যায়ে বজলু বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। ৪ জুলাই রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ বস্তির ২৩ জন বাসিন্দা আহত হন। ৫ এবং ৬ জুলাই পৃথক সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো ৫০ জন। বুধবারও দিনভর থেমে থেমে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
সংঘর্ষ ও আহতের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার এসআই পরেশ বাগচি ও আবদুল্লাহ আল মারুফ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। মামলার পর মঙ্গলবার রাতে বজলুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি রিভলবারসহ প্রচুর পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় কৌশলে গা ঢাকা দেয় বজলু ও তার কয়েকজন সহযোগী। এ পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের গ অঞ্চলের এএসপি আবির হোসেন বলেন, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া বস্তিতে ছোট জায়গায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। সেখানে স্বল্পসংখ্যক পুলিশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবু আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি আরো বলেন, অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক নাকেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সন্ত্রাসী বজলুসহ তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে আমরা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অব্যাহত রেখেছি।