শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জঃ- ফতুল্লায় বেপরোয়া সোর্স সোহাগ। সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় ছাড়াও ইয়াবা বা যেকোনো মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার কারিগরও এই সোর্স সোহাগ। ফতুল্লায় এমন কোনো পাড়া-মহল্লা মিলবে না যেখানে সোর্স সোহাগের দৌরাত্ম্য নেই। সোর্স সোহাগ এখন নিজ এলাকার মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। ফতুল্লা এলাকায় মাদক ব্যবসা, অবৈধ ব্যবসা, ভেজাল কারখানা, অসামাজিক কার্যকলাপ- সবকিছুর নিয়ন্ত্রক এই র্সোস।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় সোর্সদের অপরাধ কর্মকা-, অত্যাচার ও অনাচার জনসম্মুখে প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সোর্সদের অপরাধ কর্মকান্ডের ইতিহাস বছরজুড়েই রচিত হয়ে আসছে। ভুক্তভোগীরাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
এদিকে সোর্সদের ভুয়া তথ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেমন অনাকাক্সিক্ষতভাবে বিপদের সম্মুখীন হয়, তেমনি সাধারণ মানুষও হয় নির্যাতিত। সোর্সদের দেওয়া ভুল তথ্যে বিব্রতকর কাজে জড়িয়ে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী, সোর্সদের পেশার পরিচয় গোপন রাখার কথা। কিন্তু নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য সোর্সরা এর উল্টোটাই বেশি করে। পুলিশের গাড়িতে প্রকাশ্যে চলাফেরা করে। পুলিশের সাথে থাকার কারণে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সোর্সরা পুলিশের গাড়িতে চলাফেরার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। যা খুশি তাই করছে।
এদিকে বর্তমান থানায় নতুন নতুন অফিসার এসআই, এএসআই জয়েন্ট করছে সে সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ধান্দাবাজ সোর্স সোহাগ ফায়দা লুটছে। প্রতিটি মাদক স্পট থেকে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মাসোহারা এবং মাদক বিক্রির অভয় দিচ্ছে। তাকে চিনেনা এই রকম পাড়া-মহল্লা খুব কম আছে। পুলিশের সাথে না গিয়েও একা গিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মাদক বিক্রেতাদের ধরে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে সোহাগের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে পাগলা, আলীগঞ্জ, ফতুল্লা এলাকায় সোহাগের বিচরণ লক্ষনীয়।
সূত্র জানায়, সোর্স সোহাগ রাত হলেই নিজেই হয়ে যান পুলিশ, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে আলীগঞ্জ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী কেপ জুয়েলকে সাথে নিয়ে অটো রিক্সায় সারারাত ঘুরে বেড়ায়। এবং মাদক বিক্রি করে। রাতে চলাচল রত বিভিন্ন মানুষকে মাদকের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, গত ২/৩ দিন আগে আমার কাছে এক লোক পুরাতন রেল লাইন বিক্রি করতে আসে। আমি কিনবো না বলে তাকে পাঠিয়ে দেই কিন্তু সোর্স সোহাগ আমাকে অনুরোধ করে রাখতে বলে এবং বলে কিছু হবে না আমি আছি না।
এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি রাতে চলচলচল ট্রাক থেকে মালামাল চুরি সোর্স সোহাগের নিয়ন্ত্রনে হয়ে থাকে। এতে করে পুলিশের নাম ব্যবহার করে পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন করছে কথিত সোর্স সোহাগ।