শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- “আমি ব্যাংকার।কাজ করে ভাত খাই।সকালে ব্যাংকে যাই রাতে বাসায় ফিরে আসি।আমার কোন ভাই অপরাধের সাথে জড়িত নয়।রাজনীতি করি তবে কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ লালন- পালন করিনা।আমার কোন বাহিনী নেই” সোমবার(২৬জুলাই) বিকেলে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এইচ,এম ইসহাক প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে আত্নপক্ষ সমর্থন করে এ কথা বলেন।তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা বেশ কিছু ছবি বলছে ভিন্ন কথা।
ছবিগুলোতে দেখা যায়,নন্দলালপুর,নয়ামটি এলাকার মূর্তিমান আতংক গন ধর্ষন,ছিনতাই,মারামারি সহ বহু সংখ্যক মামলার আসামী কিশোর গ্যাং লিডার স্বাধীনের সাথে বিভিন্ন লোকেশনে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এইচ,এম ইসহাকের বেশকিছু অন্তরঙ্গ ছবি।যাতে সহজেই প্রতিয়মান হয় যে,দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী স্বাধীনের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক।এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানায়,ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামীলীগে অবস্থান করে নেওয়া এইচ,এম ইসহাক হচ্ছে নন্দলালপুর, নয়ামাটি,নাককাটা বাড়াী,ভাবির বাজার, মেডিকেল রোড সহ আশপাশ এলাকার মুকুটহীন সম্রাট।আর তার এই রাজ্য পরিচালনায় রয়েছে একাধিক বাহিনী।যার একটি বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে স্বাধীন।
তথ্য মতে, স্বাধীনের নেতৃত্বে রয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।যার অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে কিশোর। এই বাহিনীর সদস্যরা নন্দলালপুর,রেল লাইন,প্রাপ্তি সিটি জুড়ে কায়েম করেছে ত্রাসের রাম রাজত্ব।
মাদক ব্যবসা ,ছিনতাই,চাঁদাবাজী,ইভটিজিং,জবর- দখল সহ এহেন কোন অপকর্ম নেই যে যা তারা করেনা।সাম্প্রতিক সময়ে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন বাহিনীর সাথে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নন্দলালপুর মেডিকেল রোডের সাদ্দাম বাহিনীর সাথে।এ সময় উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।এ ঘটনায় দুই জন আহত সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, স্বাধীন ও সাদ্দাম উভয়েই আওয়ামী লীগ নেতা এইচ,এম ইসহাকের অনুসারী।বিভিন্ন মিছিল- মিটিংয়ে বিভক্ত হয়ে তাদের কে ইসহাকের সাথে দেখা যায়।মূলত স্বীয় স্বার্থ হাসিলে আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক এই দুই দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী লালন- পালন করা সহ দ্বন্দ জিইয়ে রাখছে।