মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- কেউ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে, কেউ এখনো পড়ছে। তাদের আড্ডায় রয়েছে রকমফের। এদের আড্ডায় যোগ দেন তরুণ বখাটে, ছিনতাইকারী ও মাদক মামলার আসামিরাও। আড্ডার ছলে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাংয়ে। আর ‘বীরত্ব’ দেখাতে তুচ্ছ ঘটনায় খুনোখুনি, প্রকাশ্যে রাস্তায় করছে হত্যা কাঁপছে না হাত। ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইয়ে তারা বেপরোয়া।
তাদের নানা অপকর্মে সাহস জোগান এলাকার পরিচিত বড় ভাইয়েরা। এসব বড় ভাই যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পদধারী, নামধারী। সংবাদ নারায়ণগঞ্জের অনুসন্ধান ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুতুবপুরের বড় ভাই কথিত যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী গেন্দুর দলে রয়েছে ৪০/৫০ কিশোর-তরুণ। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বড় ভাই এদের টানছেন। কিশোর থেকে শুরু থেকে তরুণেরা নানা মোহে পড়ে স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে। করছে দিন দুপুরে হত্যার মত ঘটনা। এই সব শেল্টার দাতাকে আইনের আওতায় আনলে নিয়ে আসলে কিছুটা হলেও কিশোর গ্যাং কমবে।
জানাযায়, অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মদদ দিচ্ছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং তৈরি করছে নামধারী কথিত নেতারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং সদস্যদের তৎপরতা রোধে শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে।
পুলিশ বলছে, তাদের একার পক্ষে এটি রোধ করা সম্ভব নয়। অভিভাবক থেকে শুরু করে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর গ্যাং ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বড় ভাইদের একটি তালিকা করেছে বলে একটি সূত্রে থেকে জানাগেছে।
এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানাযায়, মূলত কিশোর গ্যাং লিডার সোহেল বৈরাগী বাড়ি এলাকার বসবাস করে। হঠাৎ করেই কথিত যুবলীগ নেতা গেন্দুর অতি ঘনিষ্ঠ ছোট ভাই পরিচয় দানকারী রাকিব এর সাথে যোগাযোগ হয় কিশোর গ্যাং লিডার সোহেলের। তার পরেই চলে আসে গেন্দুর শেল্টারে। তার শেল্টারে থেকে বিভিন্ন অপকর্ম অপরাধ সংঘটিত করে এই গ্রুপটি।
কিশোর গ্যাং এর প্রভাব পড়তে থাকে এলাকায়। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা চুরি-ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে। এদিকে গেন্দুর ছোট ভাই রাহিব তার বন্ধু সোহেল তাই অনেকেই তাদের ভয়ে কোনো কর্ণপাত করতে সাহস পায় না। কারণ তাদের পিছনে রয়েছে কথিত যুবলীগ নেতা গেন্দুর শেল্টার।
সম্প্রতি পাগলা নয়ামাটি এলাকায় মাসুদ নামের এক যুবক কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়। এদের লালন পালন করতো একই এলাকার যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী সন্ত্রাসী গেন্দু। কিছুদিন আগে এক যুবককে মারধরের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় গেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। এ ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাই’রা। খুনাখুনিতে কিশোর ও তরুণদের ব্যবহার করার ঘটনাও দিন দিন বাড়ছে ।
তাই এই কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রক কারীদের আইনের আওয়ায় আনার দাবী এলাকার সচেতন মহলেন