বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফতুল্লায় মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে হত্যার হুমকি দিলো ফজলুল হক ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু ১৫ আগস্ট পালন করেছেন গিয়াস উদ্দিন-রিয়াদ চৌধুরী ফতুল্লায় দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষককে পূর্ণবহাল না করার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুত্তা লীগের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না, পান্না মোল্লা ভারতে পালানোর সময় ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রুস্তম গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ফতুল্লায় ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও হামলার ঘটনার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার ফতুল্লা লামাপাড়ার মূর্তিমান আতঙ্ক মিঠুন

কিশোর গ্যাংয়ের শেল্টার দাতা গেন্দুকে গ্রেপ্তারের দাবি এলাকাবাসীর

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দারা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ। তুচ্ছ ঘটনায় হইচই-মারামারি নিত্যদিনের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ কোনো অভিযান না থাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ঘটাচ্ছে হত্যার মত ঘটনা।

কিশোর গ্যাংয়ের অনেক সদস্য পেশাদার অপরাধী হিসাবেও পুলিশের তালিকাভুক্ত। কেউ কেউ
হাত পাকিয়েছেন চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়। স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই ইভটিজিং আর বখাটেপনায় অনেকে সিদ্ধহস্ত।

সূত্র বলছে, কুতুবপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে পাগলা নয়ামাটি এলাকায় ৩ টি। প্রতিটি গ্যাংয়ের পেছনে সরকারদলীয় কতিপয় নেতার আশীর্বাদ রয়েছে। কিশোর গ্যাং লালন পালনের নেপথ্যে তাদের উদ্দেশ্য একটাই-যে কোনোভাবে এলাকার আধিপত্যবজায় রাখা। আর পাগলা নয়ামাটি এলাকায় ৩ টি কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে একই এলাকার যুবলীগ নেতা পরিচয়দান কারী গেন্দু। পাগলা নয়ামাটি এলাকায় একাধিক
কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে যুবলীগে নেতা পরিচয়দানকারী গেন্দুর নাম উঠে এসছে।

এদিকে গেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে-তিনি পাগলা নয়ামাটি এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং রাকিব ও সোহেল গ্রুপকে শেল্টার দেন। সম্প্রতি পাগলা নয়ামাটি এলাকায় মাসুদ নামের এব যুবককে হত্যার করার অভিযোগে কিশোর গ্যাং লিডার সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পরেও থেমে নেই কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রভাব।

এদিকে এলাকাবাসী বলেছে কিশোর গ্যাং এর শেল্টার দাতাদেরকে আইনের আওতায় আনা
হয় তাহলে এই কিশোর গ্যাংদের কিশোর গ্যাংয়ের পেছনে কমবে। তা না হলে কোন ভাবেই এই সমস্যা থেকে সমাজকে রক্ষা করা যাবেনা।

পাড়ামহল্লায় মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ইভটিজিংসহ তুচ্ছ ঘটনায় তারা মারামারি ও খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে মোটরসাইকেল নিয়ে দিচ্ছে মহড়া। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমাজের পক্ষ থেকে এর প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন, সভা- সমাবেশ করেও প্রতিকার মিলছে না। এ অবস্থায় কিশোর গ্যাং সদস্য ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের ভূমিকা পালনের আহবান সকলের ।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক আওয়মীলীগ নেতার সাথে আলাপকালে জানা গেছে,
এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রশ্রয়। রাজনৈতিক দলের নেতাদের
ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোররা।

 

কিশোরদের গ্রুপগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে হাতে গনা কয়েকজন নামদারী নেতা। রাজনৈতিক নেতার প্রভাবে তারা এলাকায় মাস্তানি, চাঁদাবাজি, এলাকা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে খুনোখুনির ঘটনাও ঘটাচ্ছে। একেকটি ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নড়েচড়ে বসলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। অনেক ঘটনায় জড়িত কিশোররা গ্রেপ্তার হলেও তাদের নেপথ্য মদতদাতারা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। তাই
প্রথমেই কিশোর গ্যাংয়ের পেছনে কারা আছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। সে যে
কেউ হক না কেন। তাহলেই কমে যাকে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য।

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD