রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:- ফতুল্লার ভোলাইলে মুক্তিপণ আদায়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী সহ অপর এক গার্মেন্ট শ্রমিক কে আটকে রাখার অভিযোগে কথিত ছাত্রলীগ নেতা পলাশ দাস (২৩) কে গ্রেফতার সহ আটকে রাখা কিশোরী গার্মেন্ট শ্রমিক সোহানা খাতুন(১৬) ও তার সহকর্মী জসিম উদ্দিন জিসান(১৯) কে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগরস্থ একটি রিক্সার গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ পলাশ কে গ্রেফতার সহ আটকে রাখা দুই গার্মেন্টস কর্মী কে উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত পলাচ দাস ফতুল্লা থানার ভোলাইল শান্তি নগরের নির্মল দাসের পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহানা খাতুনের বড় বোন নাসরিন খাতুন বাদী হয়ে পলাশ দাস ও ভোলাইল শান্তিনগরেরবড় মসজিদের লিয়াকত আলীর পুত্র মোঃ হিমেলের (২৬) নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয় যে, বাদীর ছোট বোন
বিসিকস্থ মার্টিন নীট ওয়্যার লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করিয়া আসিতেছে। প্রতিদিনের মতো তার ছোট বোন সকাল ৮ টার দিকে নিজ কর্মস্থলে যায়। রাত ৮ টার দিকে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর বাদীর ছোট বোন জিসান নামক তার এক সহকর্মী কে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনের রাস্তা থেকে জোড় পূর্বক তাদের কে আসামীরা ভোলাইল শান্তিনগরস্থ একটি রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের কে আটকে রেখে বাদীর মোবাইল ফোনে ফোন করে জানায় যে তার বোন কে একটি ছেলের সাথ পেয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সে তার বোন কে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ছোট বোনের মুক্তিপণ হিসেবে তার নিকট বিশ হাজার টাকা দাবী করা হয়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি ফতুল্লা থানা পুলিশ কে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখা বাদীর ছোট বোন ও তার সহকর্মী কে উদ্ধার সহ কথিত ছাত্রলীগ নেতা পলাশ দাস কে আটক করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় পলাশ দাসের সহোযোগিরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, ছুটি শেষে সহকর্মী কে নিয়ে ভোলাইল শান্তিনগরস্থ নিজ বাসায় ফিরছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক সোহানা। এসময় বাসার সামনে থেকে গার্মেন্টস ফেরৎ ঐ দুই শ্রমিক কে একটি রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে আটকে রেখে সোহানার পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপন বাবদ টাকা দাবী করা হয়।সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পলাশ দাস নামক এলজন কে আটক সহ আটকে রাখা দুই গার্মেন্ট শ্রমিক কে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছ বলে তিনি জানান।