মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতল্লা মডেল গত ২৪ ঘন্টায় তিন ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। আর এই মামলার মধ্যে দুই মামলার আসামী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এলাকা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় শওকত মিয়ার বাড়ীতে ভাড়া থাকেন মো. জিল্লুর রহমান তার পরিবার। তার মেয়ে সাথী আক্তার (ছদ্মনাম)। রেইনবো গামের্ন্টসে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। জিল্লুর রহমান নেত্রোকোনা জেলার কেন্দুয়া গ্রামের ছেলে। তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ফতুল্লা দাপাইদ্রাকপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। একই বাড়িতে জিরøুর রহমানের স্ত্রী মমতা বেগমের ভাই মো. হারুন মিয়া ও তার পরিবার ভাড়া থাকে। এ সুবাদে তারা একে অপরের বাসায় আসা যাওয়া করে।
জিল্লুর রহমানের মেয়ে সাথী আক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে হারুনের লম্পট ছেলে বাবুল (২২) এর সাথে। সে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাথীকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে মামাতো ভাই বাবুল। গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকালে সাথী (১৮) কে বাবুলের ঘরে ডেকে নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় আবারও জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে লম্পট বাবুল ।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় বাবুলের ফুফু সাথী আক্তার (ছদ্মনাম) এর মা মমতা বেগম বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার আসামী বাবুল কে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
অপরদিকে, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানাধীন আনাগাঁও গ্রামের মৃত দেলু রাহাতুল্লাহর ছেলে । তার কর্মের তাগিদে ফতুল্লা কাশীপুর হাজীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকেন মো.আব্দুর রব মিয়া (৪০)। তার ৯ বছরের শিশু কন্যা সুমি (ছদ্মনাম ) কে পাশের বাসার আব্দুর রহিম (৪০) গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বেলা ২টায় ধর্ষন করেছে বলে শিশুটি বাবা জানান। এরপর শিশুটির বাবা ফতুল্øা থানায় ১৬ ফেব্রুয়ারী লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঐ লম্পট রহিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়াধীনে আছে।
ফতুল্লার ভোলাইল মিষ্টির দোকান এলাকার গামের্ন্টস শ্রমিক কল্পনা বেগমের কন্যা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রকে ধর্ষন করেছে লম্পট সেলিম (২৫)। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৪৪(২)২০।
এ মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ভোলাইল এলাকায় মিষ্টির দোকান সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের বাড়ীতে ভাড়া থাকে কল্পনা বেগম (২৭) ও তার পরিবার। সে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানাধীন পাঁচ পটল গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী। স্বামীসহ তারা দু‘জনেই ফতুল্লার একটি গামের্ন্টসে চাকুরী করে। তার বড় মেয়ে সোনিয়া (১২) (ছদ্মনাম) ।
সে ভোলাইল এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ালেখা করেন। একই বাড়িতে ভাড়া থাকে মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে সেলিম । গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় সেলিম ফারুকের কন্যা সোনিয়া (ছদামনাম) কে তার ঘরে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে।
এ সময় ঐ মেয়েটি চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে সেলিম পালিয়ে যায়। এরপর তারা থানায় ্এসে মামলা দায়ের করেছে। এ মামলার আসামী সেলিম কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।